রাজনীতি
নিজের এলাকায় ঢুকতে পারলেন না রাজীব! শুনতে হল ‘গো ব্যাক’ শ্লোগান

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: এই ডোমজুর তাঁকে বিধায়ক করেছিল। বিধায়ক হওয়ার সুবাদে রাজ্য মন্ত্রী সভার বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছিলেন। শুধু তাই নয়, এই ডোমজুরে একসময় তিনিই ছিলেন সর্বেসর্বা। যার ফলে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই ডোমজুর থেকে রাজ্যের মধ্যে সর্বাধিক ভোটে জিতেছিলেন। এবার এই ডোমজুরেই ব্রাত্য তিনি। গত বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজের পছন্দের কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়ে হেরে যান তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কল্যাণ ঘোষের কাছে। তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার চেষ্টা করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত ত্রিপুরায় গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে পতাকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরেন। তাঁর তৃণমূলে ফেরা যে কর্মীরা মেনে নিচ্ছেন না, তা তিনি হাড়ে হাড়ে টের পেলেন। শনিবার নিজের এলাকায় ঢুকতে পারলেন না।
দেখতে হল কালো পতাকা। শুনতে হল গদ্দার এবং গো ব্যাক শ্লোগান। শুক্রবার রাতে প্রয়াত হন ডোমজুরের সলপ এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’বারের প্রধান সুধিরচন্দ্র দাস। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে যাচ্ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই রাস্তায় কিছু মানুষ জড়ো হয়ে তাঁর গাড়িকে ঘিরে কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। সাথে গদ্দার এবং গো ব্যাক শ্লোগান। বিক্ষোভের মুখে পরে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আর যেতে পারেননি প্রয়াত সুধিরচন্দ্র দাসের বাড়ি। বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরে আসতে বাধ্য হন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, বিধায়ক থাকাকালীন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এলাকায় কোনও কাজ করেননি। তোলাবাজি করেছেন। বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিনি তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকদের অপমান করেছেন। সেই কারণেই এদিন তাঁরা তাঁকে কালোপতাকা দেখিয়ে স্লোগান দিয়েছেন। যদিও এই ব্যাপারে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।