ভাইরাল খবর
এক রাজ্যে টিকিট কাটলেও ট্রেন ধরতে যেতে হবে অন্য রাজ্যে, জানুন আসল তথ্য

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: প্রায় সময়ই আমরা এমন অনেক গল্প বা ঘটনা জেনে থাকি, যা শুনলে প্রথমে আজব লাগলেও পরে সত্যি বলেই মনে হবে আপনার। আজকে তেমনই একটি আশ্চর্য বিষয় জানাবো আপনাদের। যা শুনলে বিষয়টি একবার চাক্ষুস করে দেখার সাধ জাগবে মনে।
শুনেছেন কি কখনও? ট্রেনের ইঞ্জিন থাকে এক রাজ্যে আর বগি থাকে অন্য রাজ্যে। সত্যি আজব রেলস্টেশন বটে। শুনে অবাক লাগলেও ঘটনাটি ধ্রুব সত্য। তবে এমন আজব রেলস্টেশন দেখতে কিংবা তার মজা লুটতে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশে পাড়ি দিতে হবে না। দেশের গণ্ডির মধ্যেই এমন রেলস্টেশনের দেখা মিলবে। আজব এই রেল স্টেশনের নাম ভবানী মান্ডি। স্টেশনটি ভারতের দুই রাজ্য মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের সীমান্তে অবস্থিত।
তবে এই স্টেশনকে অনেকেই সবজি মান্ডি হিসেবেই চেনেন।কারণ, কমলালেবু উৎপাদন এবং সংরক্ষণে নাগপুরের পরেই একেবারে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে এই ভবানী মান্ডি রেল স্টেশনটি। স্টেশনে প্রতিদিন গড়ে ৪০টি ট্রেন দাঁড়ায়। এমনকী দেশের প্রায় ৩০০টি রেল স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত ভবানী মান্ডি রেল স্টেশন। সবচেয়ে মজার বিষয় হল, এই স্টেশনের টিকিট বুকিং কাউন্টারটি মধ্যপ্রদেশের মান্দাসোর জেলায়। কিন্তু টিকিটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের সারি পৌঁছে যায় রাজস্থানের ঝালাওয়ার জেলা পর্যন্ত।
শুধু তাই নয়, গড়ে প্রতিদিন আট হাজার যাত্রী এই স্টেশনের মাধ্যমেই তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছে যান নির্বিঘ্নে। স্টেশনে আসা যাত্রীরা খাবার খান মধ্যপ্রদেশে আর জল পান করেন রাজস্থানে গিয়ে। এমনকী স্টেশনে কোনও দুর্ঘটনা আর অপরাধের মতো ঘটনা ঘটলে মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থান দুই রাজ্যের পুলিশই ব্যবস্থা নেয় সযত্নে। এই স্টেশনের প্রবেশ পথটি মধ্যপ্রদেশের মান্দাসোর জেলায় আবার রেলস্টেশনের ওয়েটিং রুমটি রাজস্থানের ঝালাওয়ার জেলার মধ্যে অবস্থিত।
তাহলে কী ভাবছেন? এরকম আশ্চর্যজনক রেল স্টেশন জীবনে একাবার স্বচোক্ষে দেখবেন নাকি।