ভাইরাল খবর
বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর প্রচেষ্টায় হেরিটেজ তকমা পেতে চলেছে রায়গঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বাহিন রাজবাড়ি

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রায়গঞ্জের বিধায়কের আবেদনে সাড়া দিয়ে বাহিন জমিদার বাড়িকে হেরিটেজ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর কাছে বাহিন জমিদার বাড়ির ডিপিআর চেয়ে পাঠিয়েছে রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। এই খবরে খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে রায়গঞ্জের বিভিন্ন মহলে।
খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে ইতিহাসবিদ এবং গবেষকেরাও। দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন মহলে দাবি উঠেছিল, স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন বাহিন জমিদার বাড়িকে হেরিটেজ ঘোষণা করে সংরক্ষণের ব্যাবস্থা করা হোক। এবার সেই দাবি পূরণ হতে চলেছে। উত্তর দিনাজপুরের সদর রায়গঞ্জ শহর থেকে পশ্চিম দিকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাহিন জমিদার বাড়ি। বাংলা ও বিহার সীমানার নাগর নদীর তীরে অবস্থিত জমিদার বাড়িটি বর্তমানে অব্যাবহার, অযত্ন ও সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ। কারুকার্যখচিত প্রকান্ড এই অট্টালিকা দেখতে বহু জায়গা থেকে পর্যটকেরা আসেন। ইটাহারের রায়চৌধুরী জমিদার বংশ তাদের সুবিশাল জমিদারি এলাকা দেখভালের জন্য বাহিনে এই অট্টালিকা তৈরি করেছিল। এখান থেকে বিহার ও বাংলাদেশের জমিদারি দেখাশোনা করতে যোগাযোগের সুবিধা হতো।
ভগ্নদশায় অট্টালিকার ইট বেড়িয়ে এসেছে, খসে পড়েছে পলেস্তরা। প্রতিটি ইট যেন ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করছে। রায়গঞ্জের বাহিন এলাকায় নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায় এখানকার পরিবেশ মনোরম। তাই দূরের মানুষদের কাছে এটি আকর্ষনের জায়গা হয়ে উঠেছে। ঐতিহ্যবাহী এই প্রসাদপ্রমো অট্টালিকাকে সংরক্ষণ করার জন্য উদ্যোগী হন রায়গঞ্জের বিধায়ক তথা বিশিষ্ট শিল্পপতি কৃষ্ণ কল্যাণী। গত ১২ ডিসেম্বর রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের কাছে বাহিন জমিদার বাড়িকে হেরিটেজ ঘোষণা করে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে চিঠি লিখেন কৃষ্ণ কল্যাণী। ৩১ ডিসেম্বর সেই চিঠির উত্তরে রাজ্য হেরিটেজ কমিশন বাহিন জমিদার বাড়ির ডিপিআর তৈরি করে পাঠাতে বলে। মূলত, রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর উদ্যোগেই রায়গঞ্জবাসী বাহিন জমিদার বাড়িকে হেরিটেজ হিসেবে পেতে চলেছে।
এই খবর চাউর হতেই খুশির হাওয়া রায়গঞ্জের বিভিন্ন মহলে। প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ বৃন্দাবন ঘোষ জানিয়েছেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময়ে বাহিন জমিদার বাড়িকে হেরিটেজ ঘোষণা করার জন্য দাবি জানিয়ে এসেছি। আজ বিধায়কের উদ্যোগে তা পূরণ হতে যাওয়ায় আমরা ভীষণ খুশি। দ্রুত তা সংরক্ষণের ব্যাবস্থা করে পর্যটকদের কাছে আকর্ষনীয় করে তোলা হোক।’ বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী জানিয়েছেন, ‘এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত সুখবর যে বাহিন জমিদার বাড়িকে রাজ্য হেরিটেজ কমিশন হেরিটেজ বিল্ডিং বলে মান্যতা দিতে চলেছে। আমরা খুব শীঘ্রই এর ডিপিআর তৈরি করে পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশনে পাঠাচ্ছি।’