বাংলার খবর
Raiganj: পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে মাঠে নামলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ডক্টর দুর্লভ সরকার
শিশুদের আরো বিদ্যালয়ের মুখে করে তোলার জন্য রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ডক্টর দুর্লভ সরকার, রায়গঞ্জের বিভিন্ন স্কুলে এবং প্রাথমিক স্কুলগুলিতে স্বয়ং গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের গঠন পাঠন দিচ্ছেন
নিউজ ডেস্ক – সর্বশিক্ষা মিশন যেখানে পড়ুয়াদের স্কুলে আনতে বা বিদ্যালয়ের মুখে করতে যে নাকানি চোবানি খাচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিতে ছাত্র-ছাত্রী থাকবে কিনা সন্দেহ। এছাড়া শহর গ্রামে যেভাবে প্রাইভেট স্কুলগুলি গড়ে উঠছে তাতে সরকারি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা দিন দিন কোথাও যেন লোপ পাচ্ছে।
এবার সেই শিশুদের আরো বিদ্যালয়ের মুখে করে তোলার জন্য রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ডক্টর দুর্লভ সরকার, রায়গঞ্জের বিভিন্ন স্কুলে এবং প্রাথমিক স্কুলগুলিতে স্বয়ং গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের গঠন পাঠন দিচ্ছেন যাতে তারা বিদ্যালয়ে আসেন এবং কিছুতেই যেন পড়াশুনা ছেড়ে অন্য কোথাও না যায়।
এদিন ১৩৩ তম শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর জন্ম দিবসে পৌরসভার অন্তর্গত শিল্পী নগরে শিশু কল্যাণ প্রাথমিক স্কুলে হাজির হন দুর্লভ বাবু। স্কুলে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সাথে বেশ খানিকক্ষণ সময় কাটান তিনি এবং খুদে পরুয়াদের সাথে নিজের হাতে ছবি এঁকে এবং অন্যান্য মজার মজার গল্প বলে কচিকাচাদের আনন্দ দেন সাথে আজকের ক্ষুদিরামের জীবন কাহিনী তাদের শোনান।
দুর্লভ বাবু বলেন আমি পড়াতে খুব ভালোবাসি, আরে ছাড়া আমি রায়গঞ্জের বিভিন্ন স্কুলে মাঝে মাঝেই যাব আর আজকে রায়গঞ্জ সদর বিদ্যালয় পরিদর্শকের অনুরোধে এসেছিলাম এই খুদেদের সাথে কিছুটা সময় কাটাতে। কচিকাচাদের সাথে বেশ সময়টা কখন যে কেটে গেল বুঝতেই পারিনি আর ওরাও খুব আগ্রহী। শিল্পী নগরের কো-অর্ডিনেটর অর্ণব মন্ডল, দুর্লভ বাবুর এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন । অর্ণব মন্ডল আরো বলেন শুনেছি ডঃ দুর্লভ বাবু নাকি বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় আগ্রহী করছে এবং উৎসাহি করছেন। আজ আমাদের ওয়ার্ডে এসে তিনি কচিকাঁচাদের সাথে সময় কাটিয়েছেন এবং তাদের পড়াশোনায় উৎসাহ দিয়েছেন, এ বিষয়টি খুবই ভালো লাগছে।
অন্যদিকে শিল্পী নগর শিশু কল্যাণ প্রাথমিক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রবাল সাহা বলেছেন, আজ স্যার এসেছিলেন আর যেভাবে মজার ছলে নতুন স্যারের ক্লাস করেছে খুদেরা তা সত্যি দেখার মত ছিল । আশা করি যারা বর্তমানে অনিয়মিত পড়ুয়া তারাও স্কুলে আসার উৎসাহিত হবে।