দেবীনগর কৈলাস স্কুলের পক্ষ থেকে সংবর্ধিত করা হল রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে
Connect with us

বাংলার খবর

দেবীনগর কৈলাস স্কুলের পক্ষ থেকে সংবর্ধিত করা হল রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: তিনি একধারে শিল্পপতি এবং সমাজসেবী। অনেকদিন ধরেই সমাজসেবা মূলক কাজ করে চলেছেন। বহু অসহায় মানুষের দিকে বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্যের হাত। ফলে সারা রায়গঞ্জ জুরে তাঁকে নিয়ে একটা উৎসাহ ছিল। আর সেই উৎসাহই ধরা পড়েছিল ভোটের বাক্সে।

রায়গঞ্জের মানুষের আশীর্বাদে বিপুল ভোটে জিতে বিধায়ক নির্বাচিত হন। বিধানসভা ভোটের আগে ছুটেছিলেন রায়গঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রাম-গঞ্জে। উপলব্ধি করেছিলেন রায়গঞ্জবাসির সমস্যার, অসুবিধার কথা। আর তাই বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর একের পর এক জনমুখি উদ্যোগ হাতে নেন। বিধায়কের এইসব উদ্যোগে খুশি রায়গঞ্জের সমস্ত স্তরের মানুষ। তাঁর এই জনমুখি উদ্যোগের জন্য বিভিন্ন ক্লাব থেকে শুরু করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কৃষ্ণ কল্যাণীকে কাছে পাওয়ার আবেদন করে এবং বিভিন্ন ভাবে সম্মান প্রদান করে। ঠিক একই রকম ভাবে শনিবার বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে সংবর্ধিত করল দেবীনগর কৈলাসচন্দ্র রাধারানী বিদ্যাপীঠের শিক্ষক, শিক্ষিকা এবং পরিচালক মণ্ডলীর সদস্যরা।

স্কুলের শিক্ষকরা বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে উত্তরীয় পরিয়ে এবং পুষ্পস্তবক দিয়ে সংবর্ধনা দেন। শিক্ষকদের কাছ থেকে সংবর্ধনা পেয়ে স্বাভাবতই খুশি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। সংবর্ধনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়েও কথা হয় বিধায়ক এবং স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে। বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বলেছেন, ‘এই বিদ্যামন্দির থেকে অনেক ছাত্র পাশ করেছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ বৈজ্ঞানিক হয়েছেন, কেউ আবার ইঞ্জিনিয়ার, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদ হয়েছেন। বৈজ্ঞানিকরা প্রকৃতি থেকে বেঁচে আমাদের বেঁচে থাকার রসদ যুগিয়েছেন। অনেক প্রযুক্তি তৈরি করেছেন। যা দিয়ে আমরা প্রকৃতিকে অনেকটাই নিজেদের বশে আনতে পেরেছি। আমরা অনেক ভালভাবে বাঁচতে পারেছি। ইঞ্জিনিয়াররা অনেক উঁচু উঁচু বাড়ি, পরিকাঠামো তৈরি করছেন। যা আমাদের ভবিষ্যতের অগ্রগতিকে বাড়িয়ে দিয়েছে।

Advertisement

চিকিৎসকরা আমাদের চিকিৎসা করে শরীরের কষ্ট নিবারণ করছেন। আমাদের নতুন জীবন দিচ্ছেন। ব্যবসায়ী বা শিল্পপতিরা দেশের অর্থনীতি ও পরিকাঠামোকে অনেক ভালো জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন।’ সংবর্ধনা মঞ্চ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রশংসা করেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। তিনি বলেছেন, ‘এই বিদ্যামন্দির থেকে পাশ করে অনেকেই রাজনীতিবিদ হচ্ছেন। আমাদের দেশে অনেক কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ রয়েছেন। যেমন বল্লভ ভাই প্যাটেল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী, ইন্দিরা গান্ধী, অটল বিহারি বাজপেয়ী।

এছাড়াও আমি আলাদা করে আরেকজনের নাম নিতে চাই। তিনি হলেন আমাদের সকলের প্রিয়, সম্মানীয়, আমাদের স্পন্দন, আমাদের গর্ব মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ আমরা দেখেছি বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি কীভাবে তাঁর মমতার কিরণ দিয়ে আলোকিত করেছেন গোটা রাজ্যকে। তার উপকার পাচ্ছে গোটা পশ্চিমবঙ্গবাসী। আজ এখানে এসে আমি গর্বিত। এই বিদ্যামন্দির গুলোই এক ভদ্র, সভ্য সমাজ গঠন করবে। আগামী দিনে এই ভালো সমাজতন্ত্র উন্নত পশ্চিমবঙ্গ তৈরি করবে। আজ আপনারা আমায় যে ভাবে সম্মানিত করেছেন, তার জন্য আমি গর্বিত, আপ্লুত।’

Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.