বাংলার খবর
‘ঘর পোড়া’ অসহায় পরিবারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রায়গঞ্জের মানুষ একবাক্যে স্বীকার করেন কৃষ্ণ কল্যাণীকে বিধায়ক নির্বাচিত করে তাঁরা কোনও ভুল করেননি। অতীতে রায়গঞ্জ থেকে অনেকেই বিধায়ক হয়েছেন।
কিন্তু বিশিষ্ট শিল্পপতি এবং সমাজ সেবক কৃষ্ণ কল্যাণীর মতো কেউ কখনও মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন? এই প্রশ্ন যদি রায়গঞ্জের মানুষকে করা হয়, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত স্তরের মানুষ একবাক্যে উত্তর দেবেন “না”। এমনি একজন বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। মানুষের পাশে দাঁড়ানোটা তাঁর বরাবরের অভ্যাস। বিধায়ক হওয়ার আগে থেকেই এই কাজ করে আসছেন। আর বিধায়ক হওয়ার পর মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগটা আরও কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ছুটছেন। রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রর ৯ নম্বর গৌরী অঞ্চলের রুদ্র খন্ডের বাসিন্দা রাজ মহম্মদ। কয়েকদিন আগে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় তাঁর দু’টি ঘর।
এই কনকনে ঠান্ডায় খুব খারাপ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন তিনি। খবর পৌঁছায় বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর কাছে। আর দেরি করেননি। খাবার, জামা-কাপড় ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে তিনি পৌঁছে যান রাজ মহম্মদের কাছে। পাশাপাশি বাড়িয়ে দেন আর্থিক সাহায্যের হাত। তাঁর খারাপ পরিস্থিতির সময় বিধায়ককে পাশে পেয়ে খুশি রাজ মহম্মদ। তিনি বলেছেন, ‘এই ঠান্ডার দিনে দুটো ঘর পুড়ে যাওয়ায় মনের জোর হারিয়ে ফেলেছিলাম। বিধায়ক পাশে দাঁড়ানোয় মনের জোর ফিরে পেলাম।’ কৃষ্ণ কল্যাণীর উদ্যোগে খুশি রুদ্র খন্ডের মানুষজনও। সবাই মেনে নিচ্ছেন, ভোটে জিতে সবাইতো বিধায়কের চেয়ারে বসেন। কিন্তু কৃষ্ণ কল্যাণী প্রথম প্রমাণ করেছেন বিধায়কের কাজ শুধু বিধায়কের চেয়ারে বসা নয়, মানুষের পাশে দাঁড়ানো।