বাংলার খবর
রক্তদান শিবিরের মাধ্যমেই রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সোমবার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মজয়ন্তী। ১২৬৮ সালের ২৫ বৈশাখ জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রাজ্যে তো বটেই দেশে এবং বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধূমধাম করে পালিত হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মজয়ন্তী। পাশাপাশি রায়গঞ্জেও বিভিন্নভাবে রবীন্দ্র বন্দনার মাধ্যমে পালিত হল রবীন্দ্রজয়ন্তী।
এবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনকে একটু অন্যভাবেই পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক তথা বিশিষ্ট শিল্পপতি কৃষ্ণ কল্যাণী। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত গান, ‘দাঁড়িয়ে আছো তুমি আমার গানের ওপারে।’ এই গানের লাইনটা মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী এবং রায়গঞ্জের মানুষের মধ্যে। কারণ, রায়গঞ্জের মানুষের বিপদে সব সময় ছুটে গিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন কৃষ্ণ কল্যাণী। গত কিছুদিন ধরেই রায়গঞ্জের ব্লাডব্যাঙ্কে রক্ত শূন্যতা দেখা দিয়েছে। আর ব্লাডব্যাঙ্কে রক্ত না থাকায় সমস্যায় পড়ে যাচ্ছেন রোগী ও তাঁর পরিবারের লোকজন। ব্লাডব্যাঙ্কের এই সমস্যার কথা জানতে পেরে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে এসেছেন বিধায়ক। এবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীতে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেন তিনি।
এই রক্তদান শিবিরের উদ্বোধনে কৃষ্ণ কল্যাণী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস সহ আরও অনেকে। বিধায়কের কার্যালয়ের সামনে এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সমাজসেবি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী রক্তদান শিবিরের আয়োজন করায় উৎসাহী মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিনের এই রক্তদান শিবিরে ৬৪ জন রক্ত দিয়েছেন। বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর এই উদ্যোগে যেমন রায়গঞ্জের ব্লাডব্যাঙ্কের কর্মীরা খুশি তেমনই তাঁর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে চিকিৎসক মহল। খুশি রায়গঞ্জের সাধারণ মানুষও। রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বলেছেন, ‘২৫ বৈশাখ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্ণ জন্মতিথিতে আমরা রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলাম। আমাদের ৬৪ জন কর্মী রক্ত দিয়েছেন। রায়গঞ্জ হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্কে রক্তের অভাব রয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখেই সাধারণ মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্যই আমরা এই কর্মসূচি নিয়েছিলাম। তার জন্য আমাদের কর্মীদের অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তারা এই গরমের মধ্যে এখানে এসে রক্তদান করেছেন। রক্তদান মহাদান, জীবন দান। সেই কারণেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল।’
পাশাপাশি কথা দিয়ে সোমবার কথাও রাখলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক। গত মাসে দুয়ারে বিধায়ক কর্মসূচিতে বেরিয়ে রায়গঞ্জের কমলাবাড়িতে দু’টি নির্মীয়মান মন্দিরে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। প্রতিশ্রুতি মতো সোমবার বিকালে সেখানে গিয়ে অর্ধ নির্মিত মন্দির দু’টি নির্মাণের জন্য আর্থিক সাহায্যও করলেন তিনি। সেইসঙ্গে ওই এলাকায় বিশেষভাবে সক্ষম এক ব্যক্তিকে ট্রাইসাইকেল দিয়েও সাহায্য করেছেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী।