বাংলার খবর
আঙুর চাষ করে তাক লাগিয়ে দিলেন শিক্ষক

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বারবার লাফিয়েও আঙুর ফলের নাগাল পায়নি। শেষে আঙুর ফল টক বলে চলে যায় শিয়াল। নীতিকথার এই গল্প ছোটো সকলের মুখে মুখেই ঘুরছে। শিয়াল ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়েননি রায়গঞ্জের বিন্দোলের শিক্ষক বসিরুদ্দিন আহমেদ। নিজের এক বিঘে জমিতে সুমিষ্ট আঙুর ফলিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি।
স্কুল শিক্ষক বসিরুদ্দিনের এই আঙুরের বাগান দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন এলাকার মানুষ থেকে কৃষকেরাও। রায়গঞ্জ শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রাম বিন্দোল। এলাকার শিক্ষক বসিরুদ্দিন আহমেদের উদ্যোগে সীমান্তবর্তী গ্রাম বিন্দোলে একে একে গড়ে উঠেছে বিএড, ডি এল এড সহ নার্সিং ট্রেনিং স্কুল।
বিন্দোলের রতনপুরে তাঁর নার্সিং ট্রেনিং স্কুল চত্বরেই এক বিঘা জমির উপর তৈরি করেছেন আঙুরের বাগান। দেড়-দুবছরের চেষ্টায় সফল হয়েছেন সুমিষ্ট আঙুর ফল ফলাতে। উত্তরবঙ্গে আগে কেউ হয়তো বাড়িতে টবে বা সখের ছাদের বাগানে আঙুর ফলিয়ে থাকলেও এই প্রথম চাষ উপযোগী আঙুর ফলিয়েছেন বসিরুদ্দিন। যা উত্তরবঙ্গের চাষাবাসের ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে নতুন উদ্যোগ।
আরও পড়ুন: পড়ুয়া থাকলেও নেই স্কুলবাড়ি, গ্রামবাসীর বাড়ির উঠোনই ‘অস্থায়ী স্কুল’
২০২০ সালে লকডাউনের সময় ইউটিউবে তাঁর নজরে আসে বাংলাদেশে আঙুরের চাষ। পেশায় শিক্ষক হলেও চাষীর ঘরের ছেলে বসিরুদ্দিন উদ্যোগ নেন আঙুর চাষের। আজও তিনি লাঙল চালান। কলকাতার নার্সারি থেকে ১০০ চারা এনেছিলেন তিনি।
নিজে হাতে শুরু করেন এক বিঘা জমির ওপর আঙুর চাষ। দেড় বছরের প্রচেষ্টায় আজ সফল হয়েছে আঙুর চাষে। রতনপুরের নার্সিং ট্রেনিং স্কুলের জমিতে এখন ফলন্ত ফলন্ত আঙুরের বাগান।
আরও পড়ুন: গাজলে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর গাড়ি, গুরুতর জখম ২
জেলা উদ্যানপালন আধিকারিক সাগর কোনার জানিয়েছেন, এই জেলাতে ধান, গম, পাট সহ অন্যান্য সবজি উৎপাদন হয়। এটি একটি নতুন উদ্যোগ। এই উদ্যোগে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ”বসিরুদ্দিন আহমেদের সাফল্য যাতে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন, তার জন্য আমাদের দফতর থেকে যা যা করার আমরা তাকে সাহায্য করব”।