দেশের খবর
ইরানে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে আরও একবার উঠল প্রশ্ন! স্ত্রীর কাটা মাথা নিয়ে রাস্তায় স্বামী

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ইরানের এক শহরে হঠাৎই দেখা যায় এক যুবককে। যাঁর এক হাতে এক তরুণীর কাটা মাথা আর অন্য হাতে একটি ধারালো অস্ত্র। এই বীভৎস দৃশ্য দেখে স্বভাবতই পথচারীরা ভয়ে, আতঙ্কে শিউরে ওঠে। পরে জানা যায়, ওই তরুণীটি আর কেউ নন, ওই যুবকের স্ত্রী! স্ত্রী’র কাটা মাথা নিয়ে বেশ খুশি হয়েই রাস্তায় ঘুরছিলেন ওই যুবক।
মানুষ কতটা পৈশাচিক হলে এমন ধরণের ঘটনা ঘটাতে পারে, তা ভেবেই আঁৎকে উঠছেন নেটিজেনরা! তরুণীর নাম মোনা হায়দারি। বয়স মাত্র ১৭ বছর। তাঁর বিয়ে হয়েছিল ওই যুবকের সঙ্গে ১২ বছর বয়সে। শ্বশুরবাড়িতে আগে থেকেই সে অত্যাচারিত হতো পরকীয়ার অভিযোগে। আর তাঁর এই পরিণতিও পরকীয়ার সন্দেহেই। এই নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছেন তাঁর স্বামী আর দেওর মিলে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, পরকীয়ার সন্দেহেই স্ত্রীকে হত্যা করেছেন ওই যুবক। আরও অনেক তথ্য সামনে আসলেও তদন্ত এখনও চলছে।
কিন্তু প্রশ্ন হল, এই পরিণতি কেন হবে ওই বয়সের একটি তরতাজা তরুণীর? নারীদের নিরাপত্তা কোথায়? সবথেকে বড় কথা, ১৭ বছরের একটি মেয়ের বিয়ের বয়স? এই প্রশ্নগুলোই তুলছেন সমাজকর্মীরা। ইরানে মেয়েদের বিবাহের বয়সসীমা ১৩ বছর। এই বয়সসীমাকে বাড়ানোর দাবি উঠেছে। মোনার বিয়ে হয়েছিল যখন, তখন ওঁর ১২ বছর বয়স ছিল। যে বয়সে মেয়েরা খেলনাবাটি খেলবে, সেই বয়সে তাঁরা সংসারে ঢুকে পড়ে আর তারপর হয় এইরকম পরিণতি। আইনজীবীরা বলেছেন, এরকম পারিবারিক হিংসার ঘটনা মাঝে মধ্যেই সামনে আসে। এই দেশের প্রশাসন এবং আইন যদি আরও কঠোর না হয়, তাহলে দেশে এরকম ঘটনাও বন্ধ হবে না।