খেলা-ধূলা
পঞ্জাবের আশা ভঙ্গ করে তৃতীয় দল হিসেবে প্লে-অফে আরসিবি

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : চেন্নাই সুপার কিংস, দিল্লি ক্যাপিটালসের পর তৃতীয় দল হিসেবে প্লে-অফে জায়গা করে নিল বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। রবিবার দুপুরে শারজায় পঞ্জাব কিংসকে ৬ রানে হারিয়ে দিল আরসিবি। ১২ ম্যাচ খেলে বিরাটদের পয়েন্ট ১৬। এদিনের হারের সঙ্গে সঙ্গেই পঞ্জাবের প্লে-অফে ওঠার রাস্তাও বন্ধ হয়ে গেল। ১৩ ম্যাচ খেলে প্রীতি জিন্টার দলের পয়েন্ট ১০। দলের নাম বদলেও ভাগ্য ফিরল না পাঞ্জাবের।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আরসিবির হয়ে শুরুটা দুরন্ত করেছিলেন অধিনায়ক বিরাট এবং দেবদত্ত পারিক্কল। ৬৮ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপে ভর করে শুরুতেই পঞ্জাবের ওপর চাপ তৈরি করে বিরাটের দল। কিন্তু ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই দশম ওভারের চতুর্থ বলে বিরাট (২৫) এবং তার পরের বলেই ড্যান ক্রিস্টিয়ানকে (০) ফিরিয়ে আরসিবি শিবিরে জোড়া ধাক্কা দেন হেনরিক্স। ৩৮ বলে ৪০ রান করেন দেবদত্ত পারিক্কল। তিনিও হেনরিক্সের শিকার। যদিও তার অনেক আগেই আউট হয়ে যেতেন পারিক্কল। ম্যাচের অষ্টম ওভারে রবি বিষ্ণোইয়ের বলে রিভার্স সুইপ করতে যান পারিক্কল। বল তাঁর গ্লাভসে লেগে উইকেটকিপার তথা অধিনায়ক কেএল রাহুলের কাছে পৌঁছলেও আউট দেননি আম্পায়ার। ডিআরএস নেন রাহুল।রিপ্লে-তে স্পষ্ট দেখা যায় যে দেবদত্তের গ্লাভস ছুঁয়েছে বল। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার আর শ্রীনিবাসনও দেবদত্তকে নট আউট ঘোষণা করেন। টিভি স্ক্রিনে এই সিদ্ধান্ত দেখার পরই ক্ষিপ্ত হয়ে যান রাহুল।
মাঠের আম্পায়ার অনন্তপদ্মনাভনকে পঞ্জাবের বাকি ক্রিকেটাররাও ঘিরে ধরেন। ধারাভাষ্যকাররাও সমালোচনায় সরব হন। তাতে যদিও সিদ্ধান্ত বদলায়নি। এরপরই জোড়া ধাক্কা সামলে দেন এবি ডি’ভিলিয়ার্স ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। চতুর্থ উইকেটে দু’জনে যোগ করেন ৭৩ রান। ডি’ভিলিয়ার্স ১৮ বলে ২৩ রান করে রান আউট হলেও নিজের অর্ধশত রান পূরণ করেন ম্যাচের সেরা ম্যাক্সওয়েল। ৩৩ বলে তিন বাউন্ডারি ও ৪ ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৭ রান করলেন অজি অলরাউন্ডার। শেষ ওভারে তাঁকে ফিরিয়ে দেন মহম্মদ শামি। বাংলার শাহবাজ আহমেদ ৪ বলে একটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৮ করে শামির শিকার হন। শেষে ৭ উইকেটে ১৬৪ রানে থামে আরসিবির ইনিংস। ১৬৫ রান করলেই ম্যাচ জেতার সঙ্গে প্লে-অফের দরজার খুব কাছে পৌঁছে যেতে পারত পঞ্জাব। কিন্তু রাহুল ও তাঁর ওপেনিং পার্টনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল ছাড়া পঞ্জাবের বাকি ক্রিকেটারদের এটা মাথায় ছিল বলে মনে হল না। ওপেনিংয়ে রাহুল ও মায়াঙ্ক ৯১ রানের পার্টনারশিপ করার পরও হেরে গেল পঞ্জাব। ৩৫ বলে এক বাউন্ডারি ও দুই ওভার বাউন্ডারি সাহায্যে ৩৯ রান করে আউট হন রাহুল। তাঁকে ফিরিয়ে পঞ্জাব শিবিরে প্রথম ধাক্কাটা দেন বাংলার বোলার শাহবাজ আহমেদ।
তারপর থেকেই পঞ্জাবের অধঃপতনের শুরু। নিকোলাস পুরানকে (৩) ফেরানোর পরই ফর্মে থাকা মায়াঙ্ককে ফিরিয়ে দেন যুজবেন্দ্র চাহাল। যদিও আউট হওয়ার আগে নিজের অর্ধশতরান সেরে ফেলেছিলেন পঞ্জাব ওপেনার। মায়াঙ্কের ৪২ বলে ৫৭ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল হাফ ডজন বাউন্ডারি ও জোড়া ওভার বাউন্ডারিতে। ওই ওভারেই সরফরাজ খানকেও (০) ফিরিয়ে দেন চাহাল। পঞ্জাবের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংই বিরাটদের কাজটা সহজ করে দিল। গত ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে নাইটদের হারিয়ে দেওয়া শাহরুখ খান (১৬), মোজেস হেনরিক্সরা (১২ অপরাজিত) চেষ্টা করেও আর ম্যাচ বার করতে পারেননি। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৮ রানেই থেমে যায় পঞ্জাবের ইনিংস।