বাংলার খবর
স্কুল খোলা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা, ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যকে সময় দিল হাইকোর্ট

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : স্কুল খুলতে আগ্রহী রাজ্য সরকার। কিন্তু সবদিক বিবেচনা করে সাবধানী পথেই হাঁটতে চাইছে তারা। যে সমস্ত স্কুল পড়ুয়ারা টিকা পেয়েছে তাদের ১৫ থেকে ২০ দিন নজরে রাখার পর এবং ৮৫ শতাংশ টিকাকরণ সম্পূর্ণ হলেই স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে স্কুল খোলার দাবিতে হওয়া চার জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে এমনটাই জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ ফেব্রুয়ারি।
ওই দিন রাজ্যকে জানাতে হবে, স্কুল খোলা নিয়ে তারা কী পদক্ষেপ নিয়েছে। এদিনের শুনানিতে মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘অনেক পড়ুয়ার ভার্চুয়াল মাধ্যমে পড়াশোনার পরিকাঠামো নেই। তারা ক্লাস করতে পারছে না। স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়ছে। তারা আর স্কুলে ফিরবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। ছাত্রদের মনের গতিবিধি নির্ভর করছে এই স্কুল খোলার উপর। ইতিমধ্যে অনেক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুল খোলা অত্যন্ত প্রয়োজন। এভাবে কোভিডের অজুহাত দিয়ে স্কুল বন্ধ করে রাখা চলতে পারে না। দূরত্ববিধি বজায় রেখে স্কুল খোলা হোক। চিকিৎসকেরাও স্কুল খোলারই পক্ষে সওয়াল করছেন।’
পাল্টা রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘সবাই স্কুল খুলতে আগ্রহী। অনলাইন এবং অফলাইন ক্লাসের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে মানছি। কিন্তু সব শেষে কিছু হলে দায়িত্ব রাজ্যকেই নিতে হবে। রাজ্য যখন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়, অনেক ভাবনাচিন্তা করতে হয়। স্কুল খুলতে গেলে শিক্ষক, স্কুল কর্তৃপক্ষ, নন টিচিং স্টাফ, অভিভাবকের অনুমতি নিতে হবে। পুজোর পর স্কুল বন্ধ করতে চেয়ে মামলা হয়েছিল। তার পর পরিস্থিতি বুঝে সরকার স্কুল বন্ধ করে দেয়। এখন আবার স্কুল খুলতে চেয়ে মামলা হয়েছে। মামলাকারীদের কেউ অভিভাবক নন। তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও কিছুটা সময়ের প্রয়োজন।’ রাজ্যের পক্ষ থেকে এও জানানো হয়েছে, ১২ বছরের নীচে টিকা দেওয়া শুরু হয়নি। ১৫-১৮ বছর বয়সী এমন ৪৫ লক্ষের উপর ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। যাদের টিকা দিতে হবে। এখনও পর্যন্ত ৩৩ লক্ষের কিছু বেশি ছাত্র-ছাত্রী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। জেলাগুলি এক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পরই প্রধান বিচারপতির প্রকাশ শ্রীবাস্তব স্কুল খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছেন।