বাংলার খবর
টেট দুর্নীতির তদন্তে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতির বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে সিবিআই

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: প্রাথমিকে টেট দুর্নীতির তদন্তে শহর জুড়ে অভিযানে নামল সিবিআই। ৬ দলে ভাগ হয়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের যাদবপুরের দুই বাড়ি-সহ বর্তমান সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীর বাড়ি এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসেও তল্লাশি শুরু করেছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সিবিআই-এর ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি দল শহরের বিভিন্ন জায়গায় তদন্ত শুরু করেছে।
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এমনকি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতিও সিবিআইকে দিয়েছে আদালত। আদালতের সেই নির্দেশ মতো মানিক ভট্টাচার্যকে বাড়ি থেকে পর্ষদ ভবনে ডেকে এনে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। আদালত মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে অপসারিত করার নির্দেশ দিয়েছে। যতদিন পর্যন্ত না নতুন সভাপতি নিয়োগ হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত দায়িত্ব সামলাবেন বর্তমান সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী। তবে মানিককে পদ থেকে সরাতে রাজি নয় রাজ্য সরকার। সেই দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই সরকারও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।
গত ২১ জুন প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মানিক ভট্টাচার্যেরকে ২ সপ্তাহের মধ্যে সম্পত্তির হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছেন মানিক। এখন তাঁর মামলার শুনানি চলছে ডিভিশন বেঞ্চেই। এর মধ্যেই এই মামলায় তথ্য সংগ্রহ করতে মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি, রত্না চক্রবর্তী বাগচীর বাড়ি এবং পর্ষদ ভবনে হানা দিল সিবিআই। তাঁর সম্পত্তি নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। তাই মানিক ভট্টাচার্যের সম্পত্তির হদিশ পাওয়ার পাশাপাশি নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য ও নথির খোঁজ করতে সিবিআই তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, এ দিন পর্ষদ অফিসে অভিযানে গিয়ে সেখানকার সার্ভার রুমেও তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দু’টি আলমারির চাবি তৈরি করতে চাবিওয়ালাকেও ডাকা হয়েছে। যে সমস্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সেই সমস্ত নিয়োগের কী তথ্য ও নথি রয়েছে সেটাই খতিয়ে দেখতে চাইছে তদন্তকারী দল। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের ক্ষেত্রে কমিশনের পর্ষদে সার্ভার রুমে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। এবার প্রাথমিকে দুর্নীতির তদন্তের ক্ষেত্রেও একই ভাবে এগোতে চাইছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।