বাংলার খবর
আদিবাসী মহিলাকে খুনে ধর্ষণের অভিযোগ নাকচ
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ধর্ষণ নয় খুন করা হয়েছে ফকিরগঞ্জের আদিবাসী মহিলাকে। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ থানার ফকিরগঞ্জ এলাকার আদিবাসী মহিলা খুনের ঘটনায় ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে।
মুখে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত এর চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। শ্বাসরোধ করে অর্থাৎ মুখ চাপা দিয়ে খুন করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে।
শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে একথা জানান সংবাদ মাধ্যমের কাছে। পাশাপাশি, মৃতের অভিযুক্ত সৎ ভাই রবীন টুডুকে বালুরঘাট আদালতে তোলে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ সুপার রাহুল দে জানান, আদালতে ধৃতের ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সম্পত্তি হাতাতে সুপারি কিলার ভাড়া, হল না শেষ রক্ষা
উল্লেখ্য, বিএসএফ ক্যাম্প লাগোয়া নির্জন ঝোপ থেকে এক আদিবাসী মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার কে ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায়। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের সমজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ফকিরগঞ্জ বরবাসা এলাকায়।
বুধবার দুপুর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ওই আদিবাসী মহিলা। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে সামান্য দূরে দাউদপুর বিএসএফ ক্যাম্পের ঠিক পেছনে একটি নির্জন ঝোপের মধ্যে থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার করে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্তে নামেন পুলিশ।
আরও পড়ুন: আদিবাসী মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার, ধর্ষন না খুন ধন্দে পুলিশ
পুলিশ জানিয়েছে,মৃতার বাড়ি তপন ব্লকের বালাপুরে হলেও প্রায় একমাস ধরে কুমারগঞ্জের ফকিরগঞ্জ বরবাসাতে বাবার বাড়িতেই ছিলেন তিনি। পরিবারে দাবি, বুধবার দুপুরে হাটে যাওয়ার কথা বলেই বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই আদিবাসী মহিলার অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার করে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ।