বাংলার খবর
EMI-এর টাকা নিয়ে ঝামেলা, চরম পরিণতি যুবকের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: গাড়ি কেনার পর কিস্তির টাকা মেটানো নিয়ে বিবাদের জের, মর্মান্তিক পরিণতি যুবকের। বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার নৈহাটি এলাকায়। ওই গাড়ির শো-রুম থেকেই যুবকের রক্তাত্ত দেহ উদ্ধার করেন পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বারাসাতের ছোটো জাগুলিয়ার বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন বেশ কিছুদিন আগে একটি নামী সংস্থা থেকে গাড়ি কেনেন। আর তারপরই গাড়ির EMI দিতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। জানা গিয়েছে একটি ফাইনান্স সংস্থার মাধ্যমে তিনি গাড়িটি কেনেন। লোনের কিস্তি বাবদ সাদ্দাম ৪৫ হাজার টাকার একটি চেক দিয়েছিলেন। কোম্পানিকে দেওয়া সেই চেকটি বাউন্স হয়ে যায় বলে দাবি শোরুম কর্তৃপক্ষের। এরপর সাদ্দামকে ডেকে পাঠায় নৈহাটির শোরুম কর্তৃপক্ষ। আর তারপরই বাইকের শো-রুম থেকে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। গোটা ঘটনায় শো-রুম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: বাংলা ও মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় দেশের শিল্পপতিরা, ১০ হাজার কোটি বিনিয়োগ করছে আদানি গোষ্ঠী
পরিবারের আরও অভিযোগ, অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ সাদ্দামের উপর EMI-এর টাকা তৎক্ষণাৎ দেওয়ার জন্য চাপ তৈরি করে। এরপর তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে সাদ্দাম ফোন করে বন্ধুদের জানান। বন্ধুদের দাবি, সাদ্দাম এও বলেন যে বন্ধুরা তাড়াতাড়ি যেন টাকা নিয়ে শোরুমে গিয়ে জমা দেয়, নাহলে তাঁর প্রাণহানি হতে পারে। কর্তৃপক্ষ সাদ্দামের উপর ওই টাকা তৎক্ষণাৎ দেওয়ার জন্য চাপ তৈরি করে। অভিযোগ এরপর তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে সাদ্দাম ফোন করে বন্ধুদের জানান। বন্ধুদের দাবি, সাদ্দাম এও বলেন যে বন্ধুরা তাড়াতাড়ি যেন টাকা নিয়ে শোরুমে গিয়ে জমা দেয়, নাহলে তাঁর প্রাণহানি হতে পারে।
আরও পড়ুন: আট স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে রাজ্যের উন্নয়ন, শিল্পপতিদের বিনিয়োগে আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর
জানা গিয়েছে, এরপর সাদ্দামের বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যরা শোরুমে পৌঁছন। জানতে পারেন, সাদ্দাম আত্মহত্যা করেছেন শোরুমের মধ্যেই। সেখান থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধার হয়েছে। যদিও পরিবারের দাবি, আত্মহত্যা নয়, কিস্তির টাকা না পাওয়ায় সাদ্দামকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে শোরুমের মধ্যে। খবর পেয়ে নৈহাটি থানার পুলিশ এসে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। শুরু হয়েছে তদন্ত। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।