নবান্ন-মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে পুলিশ কর্মীদের মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা
Connect with us

বাংলার খবর

নবান্ন-মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে পুলিশ কর্মীদের মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ  মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে লোক ঢুকে পড়ার জের, নবান্ন ও মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ব্যবহার করা যাবেনা মোবাইল। মোবাইল জমা রেখেই কাজ করতে হবে সমস্ত পুলিশ কর্মীকে। গত রবিবার সকলের চোখ এড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনের ভিতর প্রায় সাত ঘণ্টা ঢুকে বসেছিলেন এক ব্যক্তি। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তার জেরেই নবান্ন এবং মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে নিরাপত্তা কর্মীদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও হাসনাবাদের বাসিন্দা হাফিজুল মোল্লা নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার স্বার্থেই ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ রিজার্ভ ফোর্সের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ভেতর থেকে আটক করা হাফিজুল নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, জামার ভিতরে করে লুকিয়ে সে একটি লোহার রড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ভিতরে ঢুকেছিল। থানায় এমনই অভিযোগ দায়ের করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক নিরাপত্তা আধিকারিক। তিনি দাবি করেছেন, কোনও দুষ্কর্মের জন্যেই ওই যুবক লোহার রড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ভিতরে ঢুকেছিলেন। এরপরই আরও নড়েচড়ে বসেছে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা। হাই প্রোফাইল সিকিওরিটি জোনে, ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে কীভাবে অভিযুক্ত ওই যুবক দীর্ঘক্ষণ ঢুকে বসে রইল! তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় বড়সড় কোনও গলদ ছিল?এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

এই ঘটনার পরই মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে সোমবার নবান্নে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা অধিকর্তা ও কলকাতার পুলিশ কমিশনার। তারপরই কড়া সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। নবান্নে ঢোকার আগে মোবাইল ফোন জমা রেখেই কাজে যোগ দিতে হবে সমস্ত পুলিশ কর্মীকে। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ কর্মীরাও মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement

ভিভিআইপি হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জেড প্লাস ক্যাটাগরি নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। তাঁর বাড়ির সামনে ২৪ ঘণ্টা ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সর্বক্ষণ ৩২ থেকে ৩৬ জন নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। তারমধ্যে অন্তত দশ জন কমান্ডো থাকেন। এছাড়াও পার্সোনাল সিকিউরিটি অফিসারও থাকেন। যাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে রাখেন। সারাদিনে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকেন প্রায় দেড়শো জন আধিকারিক। এইরকম বজ্রআঁটুনি নিরাপত্তা সত্বেও মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ভিতরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি সকলের চোখে ধুলো দিয়ে কিভাবে বসে রইলেন? তা এখনও কেউ বুঝে উঠতে পারছে না।