দেশের খবর
পহেলগাম হামলায় জড়িত জঙ্গিদের খোঁজ দিলেই ২০ লক্ষ টাকার পুরস্কার, বড় পদক্ষেপ পুলিশের

ডিজিটাল ডেস্ক : কাশ্মীর উপত্যকায় ঘটে যাওয়া পহেলগাম জঙ্গি হামলার পর, আতঙ্কের আঁচ কাটিয়ে কড়া জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে সেনা সফলভাবে ধ্বংস করেছে জঙ্গিদের নব্য ঘাঁটি, যেখানে দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল জঙ্গি কার্যকলাপের পরিকল্পনা। এই ঘাঁটি থেকেই তৈরি হয়েছিল পুলওয়ামা, কান্দাহার বিমান হাইজ্যাক, এবং ২৬/১১ মুম্বই হামলার মতো ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের রূপরেখা।
ধ্বংস ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি, অধরা পহেলগামের ঘাতকরা
এই অভিযানে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানে গড়ে ওঠা লস্কর-ই-তৈবা ও জইশ-ই-মহম্মদ সহ একাধিক জঙ্গি সংগঠনের নয়টি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবুও এখনো অধরা রয়েছে পহেলগাম হামলায় সরাসরি জড়িত তিন জঙ্গি।
জঙ্গিদের ধরতে বড় ঘোষণা পুলিশের
পুলিশ এবার সাধারণ মানুষের সাহায্য চেয়ে ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে এই তিন জঙ্গির সন্ধানদাতার জন্য। পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, তথ্যদাতার পরিচয় গোপন রাখা হবে। ইতিমধ্যেই সোপিয়ান জেলার বিভিন্ন জায়গায় এই তিন অভিযুক্ত জঙ্গির ছবি সম্বলিত পোস্টার লাগানো হয়েছে।
কে এই তিন জঙ্গি?
পোস্টারে দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্তরা হল:
-
আদিল হুসেন থোকার – লস্কর-ই-তৈবার সদস্য, কাশ্মীরের অনন্তনাগের বাসিন্দা।
-
আলি ভাই ওরফে তালহা ভাই – পাকিস্তানের নাগরিক।
-
হাশিম মুসা ওরফে সুলেমান – পাকিস্তানের নাগরিক।
পহেলগাম জঙ্গি হামলার ভয়াবহতা
২২ এপ্রিল, অনন্তনাগ জেলার বৈসরন উপত্যকায় ভয়াবহ হামলা চালায় এই তিন জঙ্গি। ছয় কিমি দূরে থাকা পর্যটকদের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ ও এক পনি চালককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হামলার পদ্ধতি ছিল ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর — নাম, ধর্ম ইত্যাদি যাচাই করে পরিকল্পিত হত্যা চালানো হয়। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর এটিই কাশ্মীরে সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হিসেবে মনে করা হচ্ছে।