বাংলার খবর
গোয়ায় তৃণমূলের কর্মসূচির অনুমতি দিল না পুলিশ, উত্তরবঙ্গ থেকে বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ মমতা-অভিষেকের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ত্রিপুরার পর এবার গোয়ায় তৃণমূলের কর্মসূচি আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ করেছেন, গোয়ায় তৃণমূলের যে ‘জনতার চার্জশিট প্রকাশ’ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল, শেষ মুহূর্তে তা করার অনুমতি দেয়নি গোয়া প্রশাসন।
চার দিন আগেই ‘জনতার চার্জশিট’ কর্মসূচি পালনের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। সোমবার বিকেলে ওই কর্মসূচির আয়োজনও করা হয়েছিল। কিন্তু কিন্তু শেষ মুহূর্তে হঠাৎ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির অজুহাত খাড়া করে তা বাতিল করা হয়েছে। এদিন শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠকের পর এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘গোয়াতে আমাদের কর্মসূচির শেষ মুহূর্তে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুললেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। ভয় দেখানো হচ্ছে। তবে আমাদের এইসব ভয় দেখিয়ে কোনও লাভ নেই।’ সেই সময় দিনহাটায় উদয়ণ গুহর সমর্থনে প্রচারে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও গোয়া সহ অন্যান্য রাজ্যে তৃণমূলের ক্ষমতা দখলের কথা শুনিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ত্রিপুরায় গিয়েছি। গোয়াতেও ঢুকেছি। আরও ৫-৭টা রাজ্যে যাব।
এটা কী মাস? অক্টোবর। সামনে নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি। হাতে তিন মাস সময় আছে। গোয়ায় বিধানসভা আসন ৪০টি। দল আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। তিন মাসে গোয়ায় জোড়াফুল ফুটবে। ওখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। আপনারা লিখে নিন। এর পর ত্রিপুরা, মেঘালয়, অসম এবং উত্তরপ্রদেশ-সহ একাধিক রাজ্যেও আমরা যাব। বাংলা পথ দেখিয়েছে। এবার দেশকে পথ দেখাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ এদিনও দিনহাটা ও শান্তিপুরে উপনির্বাচন নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন অভিষেক। তিনি বলেছেন, ‘দিনহাটায় উদয়ন গুহ নন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী। দেশের মানুষ এই ফলের দিকে তাকিয়ে আছে। এই উপনির্বাচনের ফল ৪-০ হবে। তবে জয়ের ব্যবধান বাড়াতে হবে।
কোচবিহার থেকে বিজেপি-কে উৎখাত করতে হবে। গোসাবা এবং খড়দহে উপনির্বাচন হচ্ছে, কারণ তৃণমূলের সৈনিকরা ওই কেন্দ্রে জিতেছিলেন। কিন্তু মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। কিন্তু শান্তিপুর এবং দিনহাটায় উপনির্বাচন হচ্ছে কেউ সাংসদ থেকে মন্ত্রী হবেন বলে, নিজেদের রাজনৈতিক লালসা চরিতার্থ করবেন বলে মানুষের ভালবাসাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ওঁরা সাংসদ হবেন, মন্ত্রী হবেন। তা হলে দাঁড়ালেন কেন? ভেবেছিলেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। ক্ষমতায় এলে মন্ত্রী হবেন। মানুষ ওদের সমস্ত চালাকি ধরে ফেলেছে।’