বাংলার খবর
বর বেশে গিয়েও হল না বিয়ে, পাত্রের ঠাঁই হল শ্রীঘরে

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বার-বার প্রচার, সচেতনতার বার্তা, মিটিং-মিছিল করেও রোধ করা যাচ্ছে না নাবালিকা বিবাহের মতো ঘটনা। পরনে ধুতি-পাঞ্জাবী, গলায় রজনীগন্ধা ফুলের মালা ঝুলিয়ে গদগদ মুখে বিয়ে করতে এসে বর বাবাজীর ঠাঁই হল শ্রীঘরে। অপরাধ একটাই। বিয়ে করতে আসলেও যাকে তাঁর জন্য বিয়ের পাত্রী হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে সে বয়সে নাবালিকা। বিয়ের উপযুক্ত বয়স হয়নি তার।
শুধুমাত্র এই অভিযোগের ভিত্তিতে বর বাবাজীকে বিয়ের আসর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে লকআপে পুরলেন পুলিশ। সারারাত বর বেশেই হাজতে কাটাতে হল পাত্রকে। যদিও শেষ পর্যন্ত আর বিয়েটা হয়নি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের নান্দুর এলাকার একটি কালী মন্দিরে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছেন, ধৃতের নাম বিশ্বনাথ বিশ্বাস। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানার বড়শুলের কুমিরখোলা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর ও কনে দু’ জনই শক্তিগড় থানার বড়শুল এলাকার বাসিন্দা। শুক্রবার বর্ধমান থানার পুলিশ বরের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তাকে বর্ধমান আদালতে পেশ করেছে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন ৬৬ বছরের অরুণলাল! পাত্রী কে?
বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই কালী মন্দিরে হানা দেয় পুলিশ বাহিনী। সেখান থেকে বিয়ের কনে ওই নাবালিকা উদ্ধার করেন তাঁরা এবং অভিযুক্ত বরকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। এরপর নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করে তাকে উদ্ধার করে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বরকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয় বর্ধমান থানায়।
আরও পড়ুন: দুর্দিনে সারা বিশ্বকে খাওয়ানোর সামর্থ্য রয়েছে ভারতের: মোদি
এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের ডিএসপি হেড কোয়ার্টার অতনু ঘোষাল জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে অভিযুক্তকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, নাবালিকার বিয়ে হতে চলেছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গেই সেই বিয়ে থামাতে তৎপর হয় পুলিশ ও চাইল্ড লাইন। কালী মন্দিরে পুলিশ পৌঁছতেই বর ও কনে পক্ষের সবই গা ঢাকা দেয়। বরকে পাকড়াও করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। নাবালিকাদের বিয়ে ঠেকাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে।