দেশের খবর
মসজিদে নামাজ পাঠে মানা, বিতর্কে মথুরা

বেঙ্গল এক্সপ্রেস: বিতর্ক থামেনি বেনারসের জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের নতুন করে মসজিদে নামাজ পাঠ নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা।
মসজিদে নামাজ পাঠ বন্ধ করতে হবে। দুই আইনজীবীর স্থানীয় আদালতে দায়ের করা মামলা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে মন্দির নগরী মথুরায়। জানা গিয়েছে, বৃন্দাবনের মথুরায় অবস্থিত শাহি ইদগাহে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ঘটনায় মামলাকারী দুই আইনজীবী এবং আইনের ছাত্ররা জানিয়েছেন যে, শাহি ইদগাহের যেখানে মুসলিমরা নামাজ পড়ছেন সেখানে হিন্দু মন্দির ছিল। হিন্দুদের দেব-দেবীর মূর্তির নিদর্শনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে।
এই বিষয়ে লখনউয়ের আইনজীবী Shailendra Singh মথুরার স্থানীয় আদালতে মামলা দায়ের করে আবেদন জানান যে, শাহি ইদগাহের যেখানে নামাজ পড়া হচ্ছে সেখানে একটি হিন্দু মন্দির ছিল। তাই অবিলম্বে আদালতের উচিত নির্দেশ জারি করে ওখানে নামাজ পাঠ বন্ধ করে দেওয়া।
আরও পড়ুন: সমীক্ষা শেষ, জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে শিবলিঙ্গের হদিশ
তিনি বলেন, ”আমরা বিশ্বাস করি শাহি ইদগাহ মসজিদ যেখানে গড়ে উঠেছে সেখানে একটি মন্দিরের অস্তিত্ব ছিল। যেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আমরা চাই বিষয়টি বিবেচনা করে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা ওখানে নামাজ পাঠ বন্ধ রাখুক।”
এই মামলায় অপর আইনজীবী আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যে, ইতিমধ্যে মসজিদ প্রাঙ্গণে নিরাপত্তার খাতিরে লোক নিয়োগ করা উচিত। যদিও সব পক্ষের আবেদন শুনে কোর্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ১ জুলাই ধার্য করেছে।
প্রসঙ্গত, অনেক দিন ধরেই এই জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে সার্ভে চালাচ্ছিল আর্কিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া। সমীক্ষা শেষে আইনজীবী বিষ্ণু জৈন (Vishnu Jain) সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবি করেন যে, জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে হদিশ মিলছে একটি শিবলিঙ্গের। যেটি ভূগর্ভ থেকে ১২ ফুট ৮ ইঞ্চি নীচে রয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই আইনজীবী। বর্তমানে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা মসজিদ চত্বরকে।
আরও পড়ুন: অবাক কাণ্ড, পুরীর মন্দিরের মাথায় চেপে বসলেন পর্যটক!
জানা গিয়েছে, আইনজীবী বিষ্ণু জৈন এবং হরিশঙ্কর জৈন এই জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে সমীক্ষা চালাচ্ছিল। রবিবারই তাঁদের সার্ভের কাজ শেষ হয় বলে জানানো হয়েছে।