বাংলার খবর
বগটুই হত্যাকাণ্ড: তদন্তভার CBI-এর হাতে যেতেই শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল মামলাকারীদের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বগটুই হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার CBI হাতে যেতেই এবার Supreme Court-এ ক্যাভিয়েট দাখিল করল মামলাকারীরা। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রামপুরহাটের ঘটনার তদন্তভার সিটের হাত থেকে তুলে নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে Calcutta HighCourt। কোর্টের এই রায় ঘোষণা হওয়ার পরই এদিন শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করা হয় বলে জানা গিয়েছে। এদিকে বগটুইকাণ্ডে শুধু মামলার নথি তুলে দিলেই হবে না ধৃতদেরও দ্রুত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছে হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, এই ভয়াবহ ঘটনা সমাজের বিবেককে আঘাত করবে বলেও জানিয়েছে হাইকোর্ট।
এদিকে শীর্ষ আদালতের কাছে ক্যাভিয়েট দখল করা নিয়ে রাজনৈতিক এবং আইন বিশেষেজ্ঞদের দাবি, এই দাখিলের ফলে আর কোনও মামলাকারী এককভাবে গিয়ে শীর্ষ আদালত থেকে কোনও একতরফা ভাবে নির্দেশ না নিয়ে আসতে পারে।
অন্যদিকে বগটুই হত্যাকাণ্ডের কথা বলতে গিয়ে এবার সংসদে কেঁদেই ফেললেন রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার জিরো আওয়ার্সে তিনি রাজ্যসভার সংসদ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় বলেন, ”রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বলতে কিছুই নেই। পশ্চিমবাংলায় রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করা হোক।” রাজ্যসভায় যখন রূপা বগটুই হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিতে গিয়ে এই কথা বলছেন তখন তাঁকে তৃণমূলের তরফে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হলে কেঁদে ভাসিয়ে দেন তিনি।
এদিন তিনি আরও বলেন, ”পশ্চিমবঙ্গের কথা বলতে গিয়ে আমার মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে। আমরা কেউ পাথর নই, আমরা মানুষ। সাধারণ মানুষের এখন পশ্চিমবঙ্গে বেঁচে থাকায় দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বাংলা ভারতের অংশ। এখানে মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার আছে। এই অশান্ত পরিস্থিতি দূর করতে অবিলম্বে রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করা হোক।”
আরও পড়ুন: ‘একসময় কোর্ট সিবিআইকে তোতা পাখি বলে মন্তব্য করেছিল’, বগটুই নিয়ে বিস্ফোরক ফিরহাদ
এদিকে বগটুই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। ঘটনার প্রতিবাদে এদিনও বিধানসভার ওয়ালে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের দাবি যতক্ষণ না পর্যন্ত বগটুই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় বিবৃতি দিচ্ছেন ততদিন তাঁরা বিধানসভার অধিবেশন ওয়াকআউট করবেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে বগটুইকাণ্ডে এবার CBI তদন্তের নির্দেশ দিল Kolkata High Court। সিট আর তদন্ত করতে পারবে না। অভিযুক্তদের এবার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে। মর্মান্তিক এই হত্যালীলায় সত্য উদঘাটনের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা Adhir Chowdhury। জানা গিয়েছে আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেবে CBI। এছাড়াও CBI কে সহযোগিতা করতে হবে বলেও জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: বাংলায় রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হোক, সংসদে কেঁদে ভাসালেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়
শুধু তাই নয়, বগটুই হত্যাকাণ্ড নিয়ে বলতে গিয়ে শুক্রবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জানান, রামপুরহাটে যা হয়েছে তা নৃশংস অপরাধ। বীরভূমের এই ঘটনার সঙ্গে তিনি ২০০৭ সালের নন্দীগ্রামে পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনা এবং ২০০২ সালে গুজরাটের ঘটনার প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি। এদিন মামলাকারী বলেন, ‘এই ঘটনাকে গুজরাটের ২০০২ সালের ঘটনার সাথে তুলনা করা যেতে পারে।’