বাংলার খবর
সন্তানের মঙ্গল কামনায় নীলের পুজো, তারকেশ্বর মন্দিরে ভক্তদের ঢল

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: করোনা অতিমারির জেরে টানা দু’বছর উৎসবের আনন্দে পড়েছিল ভাটা। অবশেষে সেই দুর্দিন কাটিয়ে ধীরে-ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে জনজীবন। অদৃশ্য মারণ ব্যাধিকে হারিয়ে দূরত্ববিধি বজায় রেখে খুলে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ,অফিসকাছাড়ি, দোকানপাট-বাজারঘাট।
এদিকে করোনার জন্য গত দুই বছর পুজো দিতে পারেননি ভক্তরা। চলতি বছরে শিব-পার্বতীর বিয়ে উপলক্ষে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হুগলীর তারকেশ্বর মন্দিরে। নীল-নীলাবতীর (শিব,দুর্গা) বিবাহ উপলক্ষে সাজিয়ে তোলা হয়েছে তারকেশ্বর মন্দির। চরকের আগের দিন ধুমধাম করে তারকেশ্বর মন্দিরে পালিত হচ্ছে নীলষষ্ঠী।
মূলত নীলপুজো বা নীলষষ্ঠী হল সনাতন বঙ্গীয়দের এক লোকোৎসব। সন্তানের মঙ্গল কামনায় নীরোগ সুস্থ জীবন কামনা করে নীলষষ্ঠী ব্রত পালন করেন মহিলারা। সকাল থেকেই বাবার মাথায় জল ঢালতে এবং বাতি জ্বালাতে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয়েছে তারকেশ্বর মন্দিরে।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। সবমিলিয়ে নীলপুজো ঘিরে উৎসবের আনন্দে মুখর বাবার ভক্তেরা।
আরও পড়ুন: নীল ষষ্ঠী ২০২২: সন্তানের মঙ্গল কামনায় শিবের মাথায় জল, জানুন এই পুজোর পৌরাণিক কাহিনী
উল্লেখ্য, চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন সন্তানের মঙ্গল কামনায় নীলপুজোয় মাতোয়ারা মায়েরা। সারাদিন উপবাস করে সন্ধ্যের পর বাবা ভোলানাথের মাথায় জল ঢেলে উপোস ভাঙ্গেন তাঁরা। সারাদিন উপোস থাকার পর রাতে সাবুমাখা বা ফল-মিষ্টি খেয়ে উপোস ভাঙা হয়।
আরও পড়ুন: গরম পড়তেই হাহাকার পানীয় জলের, প্রতিবাদে পথঅবরোধ গ্রামবাসীদের
চৈত্র পবনের দিনে নীলের পুজো ঘিরে নানা কথা প্রচলিত রয়েছে। মূলত সন্তানসন্ততির মঙ্গল কামনায় এদিন শিবের পুজো করেন মায়েরা। কথিত আছে, দেবাদিদেব শিবের অপর নাম নীলকণ্ঠ বা নীল। অনেকে মনে করেন, শিবের সঙ্গে নীলচণ্ডিকা বা নীলাবতী পরমেশ্বরীর বিয়ে উপলক্ষ্যে লৌকিক আচার-অনুষ্ঠান সংঘটিত হয় এদিন। শোনা যায়, দক্ষযজ্ঞে দেহত্যাগের পর সতী পুনরায় নীলধ্বজ রাজার বিল্ববনে আবির্ভূত হন ৷ এরপর রাজা তাঁকে নিজের মেয়ের মতো করে বড় করে শিবের সঙ্গে ফের বিয়ে দেন।