এপার বাংলায় ১৫ এপ্রিল পয়লা বৈশাখ, বাংলাদেশে ১৪ এপ্রিল কেন... জানুন নববর্ষের অজানা ইতিহাস
Connect with us

দেশের খবর

এপার বাংলায় ১৫ এপ্রিল পয়লা বৈশাখ, বাংলাদেশে ১৪ এপ্রিল কেন… জানুন নববর্ষের অজানা ইতিহাস

Parama Majumder

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: করোনা আবহ কাটিয়ে ধীরে-ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে জনজীবন। উদ্বেগের প্রহর কাটিয়ে নতুন বছর ১৪২৯-কে স্বাগত জানাতে উৎসবমুখর আমবাঙালি। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১৫ এপ্রিল বাংলা শুভ নববর্ষ হিসেবে উদযাপন করা হলেও ওপাড় বাংলার মানুষেরা কিন্তু ১৪ এপ্রিলই বর্ষবরণের আহ্বানে মেতে ওঠেন।

কিন্তু কেন? জানেন কী? এর পিছনে রয়েছে এক গুরুত্বপূর্ণ অজানা তথ্য। ১৪ এপ্রিল সারা বাংলাদেশজুড়ে পহেলা বা পয়লা বৈশাখ উদযাপন করা হয়। এই দিনটি বাংলাদেশের সবচাইতে বড় উৎসবগুলির একটি। মুসলিম সম্প্রদায়ের দু’টি ঈদের পর পহেলা বৈশাখই দেশের সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ উদযাপন করে থাকেন। বিশেষ এই দিনটি ঘিরে উৎসবে মেতে ওঠেন বাংলাদেশবাসী।

তবে শুধু বাংলাদেশই নয়, সারা পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বহু বাংলা ভাষাভাষী মানুষ। তাঁরাও এই ১৪ এপ্রিল দিনটিতেই পয়লা বৈশাখ হিসেবে উদযাপন করেন। এর মধ্যে রয়েছে আমাদের দেশ ভারতের কয়েকটি রাজ্য, মায়ানমার, নেপাল, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনাম অন্যতম। কিন্তু কেন? আসুন জেনে নিই অজানা সেই তথ্য…

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘দেরীতে হলেও ওনার ঘুম ভেঙেছে’, লকেটের নিশানায় তৃণমূল সাংসদ

Bangladesh: সৌর পঞ্জিকা অনুযায়ী বাংলার বারোমাস অনেক আগে থেকেই পালিত হত। তাছাড়া বাংলাদেশীরা বছরের প্রথম ছয় মাস ৩০ দিনে এবং বাকি ছয় মাস ৩১ দিনের হিসেবে করে থাকে। এই সৌর পঞ্জিকা শুরু হত গ্রেগরীয় পঞ্জিকায় এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে। এখন যেমন বাংলা নতুন বছরের শুরুর দিনটি একটি সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে, এক সময় তেমন ছিল না। বাংলা নববর্ষ বা পয়লা বৈশাখ তখন ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে পালিত হত। ইতিহাসবিদদের হিসাব অনুযায়ী ১৫৫৬ সাল থেকে বাংলা সন প্রবর্তন করা হয়।

Myanmar: মায়ানমারে নববর্ষকে স্থানীয়ভাবে ‘থিংইয়ান’ নামে ডাকা হয়। বার্মিজ ভাষায় এর অর্থ ‘পরিবর্তন’ বা ‘এক জায়গা থেকে অন্যত্র স্থানান্তর। নতুন বছরের প্রথম দিনটি সাধারণত মধ্য-এপ্রিলে হয়ে থাকে, তবে ঠিক কোন নির্দিষ্ট দিনে তা পালন হবে তা হিসাব করা হয় মিয়ানমারের সৌর এবং চন্দ্র পঞ্জিকার গণনা মিলিয়ে।

Advertisement

থিংইয়ানের দিনে বার্মা বা মায়ানমার জুড়ে পানি উৎসব হয়, এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো পানি উৎসবের একটি। দেশটির মানুষ ৫০০ বছরের বেশি সময় ধরে পালন করে আসছে এ উৎসব। নববর্ষের চারদিন আগে থেকে পানি উৎসব শুরু হয়, চলে নববর্ষের দিন পর্যন্ত। দেশটির মানুষের বিশ্বাস, পানি উৎসবের পানির ছোঁয়া লাগতে হবে সব মানুষের গায়ে, তাতে করে সব পাপ দূর হয়ে যাবে। এপ্রিলে মিয়ানমারের তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে, যে কারণে পানি উৎসবের কারণে লোকের কষ্টের চেয়ে বরং এক ধরণের শান্তি হয়।

আরও পড়ুন: করোনা উদ্বেগ কাটিয়ে উৎসবে মুখরিত বাংলা, মন্দিরে-মন্দিরে পুণ্যার্থীদের ঢল

India: ভারতে ব্রিটিশ শাসনের সময় গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের প্রচলন শুরু হয়। কিন্তু তারও বহু বছর আগে থেকে পঞ্জিকা দেখে যেসব দিন আর ক্ষণ উদযাপন হত, সেগুলো এখনো দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে পালন করা দেশটির সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে। ভারতের কয়েকটি রাজ্যে বৈশাখ মাসের প্রথম দিন নববর্ষ উদযাপন করা হয়। হিন্দু সৌর বছরের প্রথম দিন আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, মনিপুর, উড়িষ্যা, পাঞ্জাব, তামিল নাড়ু এবং ত্রিপুরার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।

Advertisement

ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন নামে পালন হয় বৈশাখের প্রথম দিন: পাঞ্জাব- বৈশাখী

আরও পড়ুন: ‘সৌগত বাবু সহ সকলের সৎবুদ্ধি, সৎ সাহস হোক, সত্য কথা বলার সাহস হোক’: দিলীপ ঘোষ

কেরালা- ভিষু

Advertisement

আসাম- বিহু

তামিল নাড়ু- পুথান্দু

উড়িষ্যা- পান সংক্রান্তি

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ এবং ত্রিপুরা- পয়লা বৈশাখ

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.