বাংলার খবর
বাড়ি ফিরছেন না জগন্নাথ, ভান্ডার লুট উৎসবে মাতলেন ভক্তরা

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রীতি মেনে ভান্ডার লুট উৎসবে মাতল গুপ্তিপাড়া।
হুগলির প্রাচীন এই জনপদে উল্টো রথের আগের দিন হয় ভান্ডার লুট।
কি এই ভান্ডার লুট? পুরান মতে স্নান যাত্রার পরেই প্রভু জগন্নাথের ধূম জ্বর আসে।লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকেন জগতের নাথ।কবিরাজের পাঁচন খেয়ে জ্বর সারে তার। মুখের স্বাদ বদল করতে রথে চেপে মাসির বাড়ি যান। বৃন্দাবন থেকে দ্বারকায় গিয়ে ভক্তদের সঙ্গে লীলায় মেতে ওঠেন। ওদিকে জগন্নাথ পত্নী লক্ষ্মী চিন্তিত হয়ে পড়েন, স্বামী বোধহয় পরকিয়ায় লিপ্ত হয়েছেন। তাকে তুকতাক করতে সরষে পোড়া দেন।
এদিকে জগন্নাথ মালপোয়া ক্ষীর, মন্ডা, মিঠাই তার প্রিয় খাবার পেয়ে আর ভক্তদের নিয়ে মজে থাকায় বৃন্দাবন ফিরে যাচ্ছেন না। লক্ষ্মী এসেও জগন্নাথকে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হন। সেই কথা শুনে বৃন্দাবন চন্দ্র কৃষ্ণচন্দ্রের কাছে গিয়ে নালিশ করলেন।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ভাসবে পুজো! দক্ষিণবঙ্গে বন্যারও পূর্বাভাস আবহাওয়াবিদের
জগন্নাথকে পেটে মারতে হবে।অর্থাৎ তার খাবার যোগ বন্ধ করতে হবে। লেঠেল নিয়ে মাসির বাড়িতে গিয়ে দরজা ভেঙে খাবার লুট করা হয়। মালসায় ভরা নানা ধরনের খাবার লুট করে ভক্তদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়। খাবার না পেয়ে পরদিন মাসির বাড়ি থেকে উল্টো রথে ঘরে ফেরেন জগন্নাথ। সেই রীতি আজও আছে। আর তা পালিত হয় গুপ্তিপাড়াতে।
আরও পড়ুন: Breaking News: NDA প্রার্থী দ্রোপদী মুর্মুর সমর্থন চেয়ে তৃণমূল সাংসদদের চিঠি সুকান্ত-শুভেন্দুর
রীতি অনুযায়ী ঘোষেদের ছেলেরা এই ভান্ডার লুট করতে আসে। ভান্ডার লুট দেখতে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় গুপ্তি পাড়ায়। শুধু হুগলি নয়, নদীয়া বর্ধমান সহ অন্যান্য জেলা থেকেও মানুষ আসেন। রথের দিন যে মেলা শুরু হয় তা চলে একমাস ধরে।