বাংলার খবর
সম্প্রীতির নজির! পীরবাবার মাজারের চাদর মাথায় নিয়ে পথ পরিক্রমা করল গোটা গ্রাম

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ‘ধর্ম যার-যার, উৎসব সবার’। এই বার্তাকে মাথায় রেখেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল নিদর্শন সৃষ্টি করল বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের সিমুলিয়া দশরথবাটি গ্রাম। পীরবাবার মাজারের চাদর মাথায় নিয়ে পথপরিক্রমা। হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাই ও মা বোনেরা আনন্দে মেতে উঠল।
”মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান। মুসলিম তার নয়ণ – মণি, হিন্দু তাহার প্রাণ।” প্রায় দু-থেকে তিনশো বছর ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল নির্দশনের ধারা আজও বহমান। এই পীরবাবার ঊরসে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এক মহামিলনের তীর্থভূমি হয়ে ওঠে বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের সিমুলিয়া দশরথবাটি গ্রাম।
এই উৎসব সব বর্ণের, সব ধর্মের মানুষের মিলন উৎসব। সিমুলিয়া দশরথবাটি পীরবাবার মাজার যেন অমৃতকুম্ভ। মানুষের ধর্মীয় আবেগ এবং বিশ্বাসের তীর্থভূমি যেন এই মাজার। এলাকার যেকোনও মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলেই এই পীরবাবার মাজার প্রার্থনা করে।
আরও পড়ুন: সেতুর নিচে পড়ে থাকা বস্তা খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের, চাঞ্চল্যকর কাণ্ড উত্তর দিনাজপুরে
যখন সাম্প্রদায়িক অসহিষ্ণুতা সমগ্র দেশকে গ্রাস করেছে সেখানে ইন্দাস ব্লকের সিমুলিয়া দশরথবাটি পীরবাবার মাজার মানবতার এক উজ্জ্বল নির্দশন হয়ে রয়েছে। সিমুলিয়া,দশরথবাটি গ্ৰামের ছেলে ও মেয়েদের বিয়ের পর দিন পীরবাবার মাজারের সিন্নি খেয়ে তবেই বাড়িতে ঢুকবে ।
আরও পড়ুন: চাষের জমি থেকে উদ্ধার ৮টি তাজা বোমা, চাঞ্চল্য হরিহরপাড়ায়
এছাড়াও কোনও বাচ্চা ছেলে মেয়েদের ভুজ হলে প্রথমেই পীরবাবার মাজারে নিয়ে যেতে হয় এই রীতি আজও রয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ধূপ এবং সন্ধ্যা দেওয়ার লাইন পড়ে হিন্দু মা ও বোনেদের।পীরবাবার মাজারের চাদর মাথায় নিয়ে পথপরিক্রমায় অংশগ্রহণ করে আট থেকে আশি সকলেই।