বাংলার খবর
বাঁকুড়ায় অব্যাহত দলমার দামালের তাণ্ডব, ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক বাড়িঘর

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ফের লোকালয়ে বুনো হাতির তান্ডব। রাতের অন্ধকারে গ্রামের মোট তিনটি বাড়ি ভেঙে ফেলল দামালের দল, আতঙ্কে গ্রামবাসঈরা। জানা গিয়েছে, বড়জোড়া রেঞ্জের শীতলা বিটের নিরসা গ্রামে শনিবার গভীর রাত্রে একটি বুনো হাতি ঢুকে পড়ে। এরপর গ্রামের তিনটি বাড়ি ভাঙচুর করে। শুধু তাই নয়, বাড়িতে থাকা ধান খেয়ে নষ্ট করে ছড়িয়ে দেয় সেই হাতিটি। পরে গ্রামবাসীরা একসঙ্গে বেরিয়ে এসে হইহল্লা করলে গ্রাম থেকে বেরিয়ে যায় হাতিটি।
এদিকে এই ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামের মানুষজন। তাঁদের দাবি, গত কুড়ি থেকে পঁচিশ বছর ধরে এই গ্রামে হাতির উৎপাত রয়েছে। এই ব্যাপারে বনদফতরের কোনও ভূমিকা নেই। কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায় না বনদফতর থেকে। যদিও এখন গ্রামবাসীদের দাবি, হাতিতে যেসব ক্ষতি করেছে সেই সব ক্ষতিপূরণ চাই।
তবে রবিবার শীতলা বিট অফিসার এসে নির্সা গ্রামের মানুষকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে যান। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি। অপরদিকে বড়জোড়া রেঞ্জ অফিসার বলেন, ”সরকারি যেসব নিয়মকানুন আছে সেগুলি করা হবে। যতটুকু সরকারের তরফ থেকে সহযোগিতা করার ততটুকু আমরা করব।”
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু পুলিশের ASI-এর
এদিকে বছর পেরোতে না পেরোতেই ফের আগুন শুশুনিয়া (Shusunia Hill) পাহাড়ে।শনিবার সন্ধ্যা থেকেই শুশুনিয়া পাহাড়ের একাংশ দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে। গতবছরও আগুন লেগে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে ছিল এলাকায়। গতবছরও পাহাড়ের চুড়ায় কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয় যার ফলে একাধিক গাছপালা ও বন্য জন্তুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। আর তার কয়েক মাস পরেই সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল।
আরও পড়ুন: বাড়ি ফাঁকা পেয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা, কাঠগড়ায় জেঠু
তবে কে বা কারা আগুন লাগালো তা নিয়ে দ্বন্দ্বে বন দফতরের আধিকারিকরা। তবে স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবি, দোল উৎসব উপলক্ষ্যে পাহাড়ে আগত পর্যটকরা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি উপস্থিত হয় বনদফতরের আধিকারিক, কর্মীসহ ছাতনা থানার পুলিশ। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখার তীব্রতা এতটাই যে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে বনকর্মীদের। ঘটনাস্থলে দমকলের একটি ইঞ্জিন আসে। তবে পাহাড়ের একেবারে ঊর্ধ্বাংশে আগুন লাগায় ফিরে যেতে হয় দমকল বাহিনীকে।
তবে এই আগুন লাগার ঘটনায় প্রচুর গাছপালা ও জীবজন্তুর ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন বনকর্মীরা।