বাংলার খবর
করোনা উদ্বেগ কাটিয়ে উৎসবে মুখরিত বাংলা, মন্দিরে-মন্দিরে পুণ্যার্থীদের ঢল

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে আবার একটা নতুন বছর, পয়লা বৈশাখ। নতুন বছর ১৪২৯। আর সেই উপলক্ষে শুক্রবার বীরভূমের বিভিন্ন মন্দিরে সকাল থেকেই মানুষের পুজো দেওয়ার ভিড়। সকাল থেকে বীরভূমের সতীপীঠ কঙ্কালীতলা সেখানেও মানুষ ভিড় জমিয়েছেন। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে মায়ের কাছে মঙ্গল কামনা করতে মন্দিরে-মন্দিরে ভক্তদের ঢল নেমেছে। সারা বছর যেন ভালো কাটে সেই কামনা নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে মায়ের কাছে পুজো দিতে এসেছেন ভক্তরা।
দীর্ঘ করোনা আবহ কাটিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সিউড়ির মৌমাছি মন্দিরেও একই ছবি ধরা পড়ল। সেখানেও সকাল থেকে মানুষ হালখাতা নিয়ে মাকে পুজো দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাচ্ছেন। করোনাকালের উদ্বেগ কাটিয়ে নববর্ষের আবাহনে মেতেছে গোটা বাংলা।
আরও পড়ুন : পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ধরতে পারে ফাটল! সতর্ক করলেন বিশেষজ্ঞরা
প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া নতুন বছরের আনন্দ। কালীঘাট থেকে দক্ষিণেশ্বর, লেক কালীবাড়ি থেকে তারাপীঠ, মন্দিরে মন্দিরে পুজো দেওয়ার লম্বা লাইন। বাংলা নববর্ষের সকালে তারাপীঠে ভক্ত সমাগম। হাতে হালখাতা, পুজোর ডালি নিয়ে সকাল থেকে মন্দিরে ভিড়। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে পুজো দিচ্ছেন পুণ্যার্থীরা।
আরও পড়ুন : ধরাধামে শিব, কালী, পার্বতী! গাজনে হৈ-হৈ রব বাংলায়
হে নতুন তোমায় স্বাগতম। বাঙালির নতুন বর্ষের আজ নতুনভাবে দোকানে সেজে উঠেছে। ১৪২৯ শুরুর প্রথম দিনে সকাল থেকে আনন্দে মেতে উঠেছেন সকলে। অন্যভাবে নতুন বর্ষ দেবদেবীর আরাধনা মেতে উঠেছে হচ্ছে। দোকানে দোকানে গণেশ পুজো। জলপাইগুড়ির জয় মা কালী বাড়িতে সকাল থেকে চোখে পড়ার মতো মানুষের ভিড়। নিজেদের পরিবারের মঙ্গল কামনায় এই দিনটিতে তারা মায়ের পুজো করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং শহরের দোকানে দোকানে একটাই শব্দ শোনা যাচ্ছে ওম গনেশায় নমঃ তার সাথে লাড্ডু। অন্যদিকে মাছ বাজার এবং সবজি বাজারের চোখে পড়ার মতো ব্যস্ত। বাংলা নতুন বছরটা কি নতুন ভাবে উপভোগ করতে বাঙালি অন্যরকমই ব্যস্ত।