শুখা মরশুমেও তাড়া করছে নদী ধ্বসের আতঙ্ক, ঘরছাড়া বহু পরিবার
Connect with us

বাংলার খবর

শুখা মরশুমেও তাড়া করছে নদী ধ্বসের আতঙ্ক, ঘরছাড়া বহু পরিবার

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ‘নদীর ধারে বাস ভাবনা ১২ মাস।’ বর্ষার মরশুম যেতে না যেতেই ফের নদীর ধ্বসের আতঙ্ক তাড়া করে বেরাচ্ছে হুগলির (Hooghly) মগড়ার কুন্তী ঘাটের কলোনীগড় এলাকার বাসিন্দাদের। কুন্তী নদীর পাড়ে ধ্বসের আতঙ্ক। ঘরছাড়া একাধিক পরিবার। বাড়ি ভেঙে ঝুলছে নদীর পারে।বিপদজনক অবস্থায় রাস্তাঘাট।
ধ্বসের কবলে দোতলা বাড়ি থেকে একচালা ঘর।

জানা গিয়েছে, ১৯৬৮ সালে কুন্তীনদীর পাড়ে কলোনী গড়ে ওঠে পূর্ববঙ্গ থেকে আসা উদ্বাস্তুদের নিয়ে। ১৯৯২ সালে ১০২ জনকে পাট্টা দেওয়া হয়। ওই এলাকার বাসিন্দারা মূলত মৎসজীবী,কারখানার শ্রমিক অথবা দিন মজুর।বেশ কিছু দিন ধরেই নদীর পাড় ভাঙনের ফলে ধ্বস নামতে শুরু করেছে ওই এলাকায়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে সেটা ব্যাপক আকার নেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন: ঝাড়ুতে সাফের মুখে কংগ্রেস-বিজেপি, পঞ্জাবে ইতিহাস গড়ার পথে কেজরিওয়াল

Advertisement

চন্দ্রহাটি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বিবি কলোনী,দাস কলোনী,রেল কলোনীর বাসিন্দারা রীতিমতো আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। হুগলি নদীর শাখা নদী কুন্তী। কুন্তিঘাট থেকে বেরিয়ে পোলবা হয়ে সিঙ্গুরের ঘিয়া নদীতে মিশেছে। কুন্তী ঘাট স্টেশনের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে এই নদী। নদীর পাশের বি বি কলোনীর প্রায় একশো মিটার পার ধ্বসের কারনে বসে যাচ্ছে বাড়ি ঘর। সারা জীবনের পুঁজি দিয়ে তৈরি করা বাড়ি বাঁচাতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন: মোবাইল বিভ্রাটের জের! হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূলের কাউন্সিলর-চেয়ারম্যান

তাঁদের দাবি, অবিলম্বে যদি নদীর পাড় বাঁধানো হোক। স্থানীয় পঞ্চায়েত বিডিও, বিধায়ক সাংসদ সহ সরকারি দফতরে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের। স্থানীয় সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্য জলসেচ দফতরের তরফে বিষয়টি নজর দেওয়া হয়েছে। যাতে নদীকে ভালো করে বাঁধ দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায়। চন্দ্রহাটি ১ পঞ্চায়েতের উপ প্রধান শক্তিপদ দাস বলেন,”পঞ্চায়েতের তরফে পরিকল্পনা করে ডিপিআর জমা দেওয়া হয়েছে।অৰ্থ বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু হবে।”

Advertisement