জেনারেল ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্ত রোগী! আতঙ্কে হাতে স্যালাইনের বোতল নিয়েই বেরিয়ে এলেন রোগীরা
Connect with us

বাংলার খবর

জেনারেল ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্ত রোগী! আতঙ্কে হাতে স্যালাইনের বোতল নিয়েই বেরিয়ে এলেন রোগীরা

Raju Dhara

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: গত বছর রাজ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর সরকার রাজের একাধিক হাসপাতালে কোভিড বিভাগ চালু করেছিল। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর বেশকিছু হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই গোটা দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও বাড়ছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ প্রায় দু’হাজার ছুঁই ছুঁই। এর মধ্যেই সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়ে পানিহাটি হাসপাতালে ভর্তি হন ররাহনগরের বাসিন্দা ৬৭ বছরের লক্ষ্মীরানী দাস। কিন্তু তাঁকে জেনারেল মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় বলে অভিযোগ। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা অন্যান্য রোগীরা। সাধারণ ওয়ার্ডে করোনা রোগীকে ভর্তি করা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান অন্যান্য রোগীরা। অনেকে তো ভয়ে হাতে স্যালাইনের বোতল নিয়েই ওয়ার্ডের বাইরে বেরিয়ে আসেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎই জেনারেল মহিলা ওয়ার্ড থেকে হাতে স্যালাইনের বোতল নিয়েই রোগীদের বাইরে বেরিয়ে আসতে দেখে অবাক হয়ে যান সকলে। কেন তাঁরা এইভাবে বাইরে বেরিয়ে এসেছেন, তা বুঝতে পারছিলেন না অনেকেই। পরে জানা যায় আসল কারণ। জানা যায়, সাধারণ মহিলা ওয়ার্ডে বরাহনগরের বাসিন্দা ৬৭ বছরের লক্ষ্মীরানী দাস করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা অন্যান্য রোগীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তারপরই তাঁরা হাতে স্যালাইনের বোতল নিয়ে চ্যানেল লাগানো অবস্থাতেই ওয়ার্ডের বাইরে বেরিয়ে আসেন। এবং বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিক্ষোভকারী রোগীদের অভিযোগ, ওই ওয়ার্ডটি করোনা রোগীদের জন্য নয়। সেখানে প্রসূতি থেকে শুরু করে সদ্যজাতরাও রয়েছে। তাই সাধারণ রোগীদের সঙ্গে কেন একজন করোনা আক্রান্ত রোগীকে রাখা হল, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।

একজন রোগী বলেছেন, ‘আমরা হাসপাতালে রোগ সারাতে আসি। হাসপাতালে কেউ নতুন করে রোগে আক্রান্ত হতে আসে না। এভাবেই সাধারণ রোগীদের সঙ্গে করোনা আক্রান্ত রোগীকে রাখা হলে, সকলেই তো করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়বেন। আমরা সকলেই খুবই আতঙ্কিত। জানিনা আমাদের কী হবে।’ যদিও পরিবারের সদস্যরা লক্ষ্মীরানী দাস করোনা মুক্ত বলে দাবি করেছেন। তাদের দাবি, ‘লক্ষীরানী দাস গত ১০ দিন আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এখন তাঁর শরীরে আর করোনার কোনও উপসর্গ নেই। তবে করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর তিনি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। সেই জন্যই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’ যদিও গোটা ঘটনাটি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.