লাইফ স্টাইল
Parle-G: টানা ১০ বছরে সাফল্যের চুড়ায় পার্লে-জি, দৌড়ে পিছিয়ে আমুল-ব্রিটানিয়া
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সস্তায় পুষ্টিকর। দীর্ঘদিন ধরে মানুষের প্রথম পছন্দের তালিকায় রয়েছে পার্লে-জি বিস্কুট ব্র্যান্ডটি। কান্তার ইন্ডিয়ার বার্ষিক ব্র্যান্ড ফুটপ্রিন্ট রিপোর্ট অনুসারে, টানা ১০ বছর ধরে দেশের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল কনজিউমার প্রোডাক্টের শীর্ষে রয়েছে এই ব্র্যান্ড।
সমীক্ষা অনুসারে, টানা ২ বছর করোনায় দেশজুড়ে যে পরিমাণ Parle G বিক্রি হয়েছে তা ৮০ বছর পুরনো এই ব্র্যান্ডের ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি। ২০২০ সালের মার্চ থেকে এপ্রিল ছিল সংস্থার দীর্ঘ আট দশকের ইতিহাসের স্বর্ণালী কয়েকটি মাস। এই তিন মাসে তাদের রেকর্ড পরিমাণ বিক্রি হয়েছে। দেশের মোট বিস্কুটের বাজারের প্রায় ৩২ শতাংশ এই মুহূর্তে Parle-র একার দখলে। যেখানে পিছিয়ে রয়েছে আমুল ও ব্রিটানিয়ার মত বড় সংস্থাগুলো। এরপরই রয়েছে ক্লিনিক প্লাস এবং টাটা কনজিউমার প্রোডাক্ট ব্র্যান্ড। লকডাউনে পাড়ার দোকানগুলিতে তাদের পণ্য পৌঁছোতে চরম সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে বড় সংস্থাগুলিকে। সেই সময় দোকানে প্রিয় ব্র্যান্ডের কেক-বিস্কুট না পেয়ে অনেক গ্রাহকই স্থানীয় সংস্থাগুলির কেক-বিস্কুট কিনেছেন।
২০২১ সালে উপভোক্তাদের কাছে Parle G নিজেদের সিআরপি বৃদ্ধি করেছে ১৪ শতাংশ। এই সময়ের মধ্যে আমুলের সিআরপি বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ শতাংশ, যেখানে ব্রিটানিয়ার সিআরপি ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্যাকেজড ফুড ব্র্যান্ড হলদিরাম সিআরপি ক্লাবের শীর্ষ-২৫ এ প্রবেশ করেছে। Parle-G-র যাত্রা শুরু হয় ১৯২৯ সাল থেকে। এই সময়েই ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে দেশে স্বদেশী আন্দোলন জোরদার হয়েছিল। স্বদেশী আন্দোলন ছিল মহাত্মা গান্ধীর স্বাধীনতা আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। তিনি একে ‘স্বরাজের আত্মা’-ও বলেছেন। এর মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসনের পণ্য বর্জন করা হয় এবং নিজস্ব জিনিস তৈরির ওপর জোর দেওয়া হয়। এই চিন্তা করে, ১৯২৯ সালে, মোহনলাল দয়াল ১২ জনের সঙ্গে মুম্বইয়ের ভিলে পার্লেতে প্রথম কারখানা স্থাপন করেন। কথিত আছে যে এই শহরের নাম থেকেই কোম্পানিটির নামকরণ করা হয়েছিল ‘পার্লে’। পার্লে প্রথম ১৯৩৮ সালে Parle-Gluco (Parle Glucose) নামে বিস্কুট তৈরি শুরু করে। তারপর থেকেই রমরমিয়ে চলছে বাজার।