ভাইরাল খবর
হারিয়ে যাওয়া ব্যাগ ৩ বছর পর ফেরত পেলেন পাক মহিলা, গল্প শুনে আপ্লুত নেটপাড়া

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: হিংসা, মানুষে-মানুষে হানাহানির পৃথিবীতে মানবতা যে এখনও বেঁচে আছে ফের মিলল তার প্রমাণ। বিমানবন্দর থেকে বহু মূল্যবান জিনিস সমেত খোয়া গিয়েছিল ব্যাগ। ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ৩ বছর। খোয়া যাওয়া সেই ব্যাগের কথা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলেন মহিলা। কিন্তু হঠাৎ ৩ বছর পর সেই ব্যাগ ফেরত পেয়ে মহিলা যা জানালেন তা এখন রীতিমতো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি টুইট ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল টুইটটি খাদিজা নামের এক পাক মহিলার। টুইটারে তিনি তাঁর তিনবছর বাদে হারিয়ে যাওয়া ব্যাগ কীভাবে ফেরত পেলেন সেই কথা জানিয়ে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন। শুধু তাই নয়, ওই পোস্টে যিনি খাদিজাকে ব্যাগটি ফিরিয়ে দিয়েছেন তাঁকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ঠিক কী হয়েছিল ৩ বছর আগে? জানতে হলে পুরোটা পড়তে হবে। খাদিজা নামের ওই মহিলা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে তার একটি ব্যাগ হারিয়ে গিয়েছিল। ব্যাগটিতে তার আইপ্যাড, কিন্ডেল এবং একটি হার্ড ডিস্ক ছিল যাতে তার ফোনের পুরো ব্যাকআপ ছিল।
I was in awe of the honesty and integrity of that man but also of how bizarre the whole situation was. I never ever thought I was ever getting that stuff back in this country. But wholesome things happen at all the unexpected places. And my life is filled with wholesome events.
— Khadija M. (@5odayja) June 22, 2022
আরও পড়ুন: জলের নিচে ডুবে থাকে বৃহত্তম একশিলা শিবলিঙ্গ!
তিন বছর পর, ২০২১ সালে। যখন তিনি ইতিমধ্যেই আরেকটি কিন্ডেল এবং ট্যাবলেট কিনে ফেলেছেন এবং হারিয়ে যাওয়া লাগেজ সম্পর্কে প্রায় সব ভুলতে বসেন তখন জেহলুমের একটি মোবাইল দোকানের মালিকের কাছ থেকে তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। তারপর যা হল তা এক কথায় অভাবনীয়।
জানা গিয়েছে, জেহলুমের একটি ছোট মোবাইলের দোকানের মালিক তার মূল্যবান সেই জিনিসগুলি খুঁজে পান এবং তার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য হার্ড ডিস্কের মধ্যে থেকে খাদিজার মোবাইল নম্বর যোগার করেন।
আরও পড়ুন: বোরখা পরে প্রেমিকার সঙ্গে হোস্টেলে দেখা করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন প্রেমিক!
খাদিজা বলেন, ”আমার ভাই হারিয়ে যাওয়া সেই জিনিসগুলি আনতে এবং ওই লোকটিকে ধন্যবাদ জানাতেয জেহলুমে যায়। লোকটি একটি ছোট গ্রামে বাস করে। তাঁর একটি ছোট মোবাইলের দোকান রয়েছে এবং ওই দোকান চালিয়েই সে জীবিকা নির্বাহ করত। কিন্তু হারানো জিনিস তার সঠিক মালিকের কাছে ফেরত দেওয়ার জন্য তিনি তার ক্ষমতার মধ্যে সবকিছু করেছিলেন”।