দেশের খবর
মোদি সরকারের কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতিই সার! ভরসা নেই বিরোধীদের
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: দিন যত যাচ্ছে দেশে ততই বাড়ছে বেকারত্বের হার। সমস্যা সমাধানে মঙ্গলবার সকালে বড় ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন সকালে টুইটার বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, আগামী দেড় বছরের মধ্যে দেশে ১০ লক্ষ বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
২০১৪ সালে প্রথমবারের জন্য কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসার আগে কর্মসংস্থান নিয়ে একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, বছরে ২ কোটি চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। মোদির প্রতিশ্রুতি যে সার তা গত আট বছরে দেশের কর্মসংস্থানের পরিসংখ্যান দেখলে বেশ ভালোই বোঝা যায়। ভোট আসলেই চাকরি-চাকরি করে শুধুই বুলি আওড়ান মোদি। এদিন তাঁর কর্মসংস্থানের বার্তা নিয়ে ফের কেন্দ্রের মোদি সরকারকে তোপ দেগেছেন বিরোধীরা।
কেন্দ্রের BJP সরকারের চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া নিয়ে এদিন মোদিকে তুলোধনা করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “বছরে ২ কোটি চাকরি হবে বলেছিলেন। আট বছর হয়ে গেল, ১৬ কোটি বেকারের চাকরি হয়নি। তাই এই ঘোষণার নিশ্চয়তা কী! আমার তো ভরসা নেই।”
আরও পড়ুন: দেড় বছরে ১০ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি, আশ্বাস মোদির
অন্যদিকে, CPIM-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে তো বছরে ২ কোটি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল! সেই অর্থে আট বছরে ১৬ কোটি চাকরি হয়। সেই গল্প চলে গেল। সরকারি সংস্থাগুলির এক এক করে বেসরকারিকরণ হচ্ছে। বিএসএনএল-এর মতো সংস্থাকে প্রায় তুলে দেওয়া হয়েছে। রেলের পরীক্ষা কোথায় চলে গিয়েছে। গত এক সপ্তাহেই ৭০ হাজার চাকরি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই এই দাবি কি বিশ্বাসযোগ্য আদৌ? বছরে ২ কোটি বলেছিলেন, এখন দেড় বছরে ১০ লক্ষ বলছেন। ২০২৪-এ ভোট। ধরা পড়ে যাবেন বলেই কি! ভোটের পর আবার ভুলে যাবেন আমার বিশ্বাস। বাজার গরম করার জন্য এখন এ সব বলছেন।”
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থী হিসেবে ভাসছে এই বর্ষীয়ান নেতার নাম
প্রসঙ্গত, কর্মসংস্থান ইস্যুতে মোদি সরকারকে ঘেরাও করে চলেছে বিরোধীরা। রাহুল গান্ধী সহ বিরোধী দলের নেতারা বারবার কর্মসংস্থান নিয়ে মুখ খুলেছেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা মঙ্গলবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি বলেন, ”এ ৯০০ ইঁদুর খেযে বিড়ালের জয়যাত্রা আর কী! ৫০ বছরে বেকারত্ব সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। টাকার দাম সর্বনিম্নে এসে ঠেকেছে। আর ট্যুইটার ট্যুইটার খেলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন প্রধানমন্ত্রী।”