দেশের খবর
EPF-এ সুদের হার কমানোয় কেন্দ্রকে একযোগে আক্রমণ বাম-কংগ্রেস-তৃণমূলের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: গত বৃহস্পতিবারই দেশের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। উত্তর প্রদেশ সহ চার রাজ্যেই ক্ষমতা দখল করেছে BJP। এরপরই শনিবার EPF-এ সুদের হার কমানোর কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ৮.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০২১-২২ আর্থিক বছরে ইপিএফ-এর সুদের হার করা হয়েছে ৮.১ শতাংশ। যা গত ১০ বছর নয়, গত ৪০ বছরেও সর্বনিম্ন।
মধ্যবিত্তের কপালেও হাত ফেলে দিয়েছে। ইপিএফ-এর সুদের হার কমানোর কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে বাম, কংগ্রেস, তৃণমূল সহ দেশের সমস্ত বিরোধী দলগুলো। বিরোধীদের দাবি, দেশের সাধারণ মানুষের টাকা লুট করে কর্পোরেটদের সুবিধা করে দিতে চাইছে কেন্দ্র। চার রাজ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসায় ইপিএফ-এর সুদের হার কমিয়ে দেশবাসীকে বিজেপি উপহার দিল বলেই কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।
CPIM নেতা শমীক লাহিড়ী কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, ‘মোদি অর্থাৎ কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উদ্দেশ্যই হল সাধারণ মানুষের সঞ্চয়, ভবিষ্যতে নিরাপত্তা কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়া। ব্যাংকের সুদের হার কমাচ্ছে, স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার কমাচ্ছে। যাতে মানুষ আরও বেশি করে শেয়ার বাজারের দিকে যেতে বাধ্য হয়। গোটা দেশের মানুষের পকেট লুট করার রাস্তা সরাসরি খুলে দিচ্ছে বিজেপি সরকার। চার রাজ্যের ভোট মিটল। এখন আরও বেশি করে নখ, দাঁত বেরোবে। গোটা দেশে আদানি, আম্বানিদের রাজত্ব চলবে। বাকি জণগণ লুণ্ঠিত হবে। এটাই এদের নীতি। কর্পোরেট ট্যাক্স কমিয়ে সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ের সুদের হার কমিয়ে সেটাই প্রমাণ করছে বিজেপি। ধনীদের উপর ট্যাক্স কমবে আর সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের উপর ট্যাক্স বাড়বে কেন? এটা অর্থনৈতিক সংস্কার হচ্ছে! নাকি কর্পোরেটদের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে?’
বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ কথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরীও (Adhir Chowdhury) ইপিএফ-এর সুদ কমানোর তীব্র প্রতিবাদ করার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে বলেছেন, ‘ প্রভিডেন্ট ফান্ড মানে সরকার খরচ করে। সেখান থেকে সুদ হিসেবে আয় করে সাধারণ মানুষকে দেয়। এটা সাধারণ মানুষের টাকা। মানুষের টাকা সরকারের কাছে থাকে। সেখান থেকে সরকার লাভ করে সাধারণ মানুষকে তার থেকে কিছুটা দেয়। সেখানেও সরকার হাত দিচ্ছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা আরও কমিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। ক্রয় ক্ষমতা যত কমে যাবে ততই ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা চুরমার হয়ে যাবে। সেটাই আজকে হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: EPF-এ সুদের হার কমল, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং বিপদজনক সিদ্ধান্ত। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ সঞ্চয়ের উপর নির্ভরশীল। সেখানে যেভাবে ইপিএফ-এর সুদের হার গত ১০ বছরে সর্বনিম্ন করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার, তার তীব্র বিরোধিতা করছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। চার রাজ্যে বিজেপির জয়ের উপহার দেশবাসীকে দিল কেন্দ্র।’