দেশের খবর
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিদ্ধান্তেই চাকরি অনিশ্চিত হয়ে পড়ল কলেজের ইংরাজি অধ্যাপকদের!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সিদ্ধান্তেই চাকরি অনিশ্চিত হয়ে পড়ল কলেজের ইংরাজি অধ্যাপকদের! সম্প্রতি এবিলিটি এনহ্যান্সমেন্ট কোর্স (এইসি) থেকে ইংরেজি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। আর এতেই চাকরি হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজ গুলোর ইংরেজি অধ্যাপকেরা। তাই গত মঙ্গলবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠনের কাছে এইসি থেকে ইংরেজি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছেন ৪০০এর বেশি ইংরেজি অধ্যাপক।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের পড়ুয়াদের এই এবিলিটি এনহ্যান্সমেন্ট কোর্স করা বাধ্যতামূলক। ভবিষ্যতে কেরিয়ারের কথা মাথায় রেখেই এই কোর্সের মাধ্যমে ইংরেজি ভাষা এবং সাবলীলভাবে ইংরেজিতে কথা বলা শেখানো হয় পড়ুয়াদের। বর্তমানে পড়ুয়াদের হয় ইংরেজি অথবা সংবিধানস্বীকৃত ২২ ভাষার মধ্যে একটি বেছে নিতে হয়। প্রথম সেমেস্টারে এই ভাষা পড়ানো হয়। এবং স্নাতকস্তরের ১৪৮ ক্রেডিটের মধ্যে এই বিষয়ে ৪ ধরা হয়। অন্যদিকে, ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্কের (ইউজিসিএফ) আওতায় চার বছরের স্নাতক কোর্স শুরু হচ্ছে। কিন্তু দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এইসি থেকে ইংরেজি বাদ দিয়ে দিয়েছে। এবার থেকে গোটা স্নাতকস্তরের ১৬০ ক্রেডিটে এইসি-কে মাত্র ২ ধরা হবে। এতেে ইংরেজি অধ্যাপকদের আশঙ্কা, তাঁদের কাজ অনেকটাই কমে যাবে। যার ফলে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলোর প্রায় ১০০ ইংরেজি অধ্যাপকের চাকরি হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
তবে শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনও ওই ইংরেজি অধ্যাপকদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি। ওই অধ্যাপকদের কর্মচ্যুত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল। তবে কলেজগুলো ওই অধ্যাপকদের সাময়িকভাবে বসিয়ে দিতে পারে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, কলেজের ওয়ার্কলোডের ওপরই অধ্যাপকের সংখ্যা নির্ধারিত হয়ে থাকে। একজন সহকারী অধ্যাপককে সপ্তাহে ষোলো ঘণ্টা এবং একজন সহযোগী অধ্যাপককে সপ্তাহে চোদ্দ ঘণ্টা ক্লাস করাতেই হয়।তাই এইসি থেকে ইংরেজি বাদ পড়ায় ইংরেজি অধ্যাপকদের সামিয়কভাবে বসানোর আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।