বাংলার খবর
জাল দলিল দিয়ে মিউটেশন করানোর অভিযোগ, পুলিশের জালে ২
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: পুরুলিয়ার প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, বলরামপুর ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের সামনের দুটি দোকান থেকে কাজের নামে মোটা টাকা নেওয়া হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগের পরই তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ। ঘটনায় ২ জন ভেন্ডারকে গ্রেফতার করে। শুধু তাই নয়, হুগলির পোলবা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের জাল দলিল নিয়ে মিউটেশান করাতে এসে গ্রেফতার হন ১ ব্যাক্তি। পোলবার রাজহাট নলবোনা গ্রামের মিলন মালিকের(৩৮) বিরুদ্ধে পোলবা বিএলএলআরও সঞ্জিব ঘোষ অভিযোগ করেন পোলবা থানায়।
জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন আগে মিলন মালিক একটি জমির দলিল নিয়ে মিউটেশান করাতে যান পোলবার বরুনানপাড়ায় ভূমি রাজস্ব দফতরে। ১৯৯৯ সালের দলিলে ডিস্ট্রিক্ট সাব রেজিস্ট্রারের নাম উল্লেখ থাকায় সন্দেহ হয় বিএলএলআরও সঞ্জিব ঘোষের। কারন যে সময়কার দলিল তার আগে হুগলিতে ডিএসআর দুটি ভাগে বিভক্ত হয়। ডিএসআর-১ আর ডিএসআর-২। দফতরে রিকুইজিশন পাঠিয়ে দলিলের রেকর্ড যাচাই করতেই ধরা পরে জাল দলিল।
আরও পড়ুন: ‘হেরে গিয়েও দেখো কী সুন্দর কাজ করছে’, কার প্রংসা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো!
মঙ্গলবার মিলন মালিককে হেয়ারিং এ ডাকা হয় ভূমি রাজস্ব দফতরে। মিলন আসতেই পুলিশ ডাকেন বিএলএলআরও। লিখিত অভিযোগ করেন জাল দলিল নিয়ে মিউটেশান করাতে আসার। পোলবা থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার কর। বুধবার ধৃতকে চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হয়। জানা গিয়েছে। পুলিশ ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত করে দেখবে।
আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা, অনুব্রত মণ্ডলকে ফের CBI তলব
এদিকে আদালতে যাওয়ার পথে মিলন মালিক তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তার দাবি তিনি জমি কিনেছেন যার কাছ থেকে সেই কিছু করে থাকতে পারে। এমন হবে জানলে মিউেটশান করাতে আসতেন না।