বাংলার খবর
করোনা আবহে বন্ধ হচ্ছে হুগলির একের পর এক জুটমিল!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: গোটা দেশ সহ রাজ্যে যখন করোনার সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে তখনই আবার নতুন করে কর্মহীন হয়ে পড়লেন বেশ কিছু মানুষ। আবারও বন্ধ হল জুটমিল। হুগলি জেলার একের পর এক জুটমিল বন্ধ হতে শুরু করেছে।
এবার সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ ঝুলল হুগলির চাঁপদানীর নর্থব্রুক জুটমিল। ১ লা জানুয়ারি বন্ধ হয়েছিল চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিল। তার আগে বন্ধ হয়েছে ভদ্রেশ্বরের শ্যামনুগর নর্থ জুট মিল। তারও বেশকিছুদিন আগে বন্ধ হয়েছে রিষড়ার ওয়েলিংটন ও শ্রীরামপুরের ইন্ডিয়া জুটমিলের গেট। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে বেসামাল অবস্থা বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষের। হুগলি জেলার একটা বড় অংশের শ্রমিক যারা জুটমিলে কাজ করেন তাঁরা কাজ হারালেন।সামনে পুরভোট, তাই জুটমিল বন্ধ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির শ্রমিক সংগঠন বিএমএস-এর নেতা কানাই পান্ডের অভিযোগ, ‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন খেলা হবে।
শ্রমিকদের পেটে লাথি মেরে খেলা শুরু হয়েছে। সরকার মালিক পক্ষের সঙ্গে মিলে মিল বন্ধ করছে। করোনার সময় কোনও কাজও মিলবে না অসহায় শ্রমিকদের।’ যদিও শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন এই জুটমিল বন্ধের জন্য কেন্দ্রের ঘাড়েই দোষ চাপাচ্ছে। আইএনটিটিইউসি নেতা সন্তোষ সিঙের অভিযোগ, ‘কেন্দ্র সরকারের ভুল জুট পলিসির জন্য মিল চালাতে পারছে না মালিক।কেন্দ্র সরকার সারে ছয় হাজার টাকা পাটের দাম বেঁধে দিয়েছে। তার বেশি দামে কিনবে না। আর চাষীরাও ওই দামে পাট বেচতে চাইছে না। ফলে পাটের যোগান কমে যাচ্ছে।কেন্দ্র সরকারের ভুল পলিসির জন্য পাট শিল্প শেষ হয়ে যাচ্ছে। পশ্চিমবাংলায় পাট শিল্প আছে বলে সেটাকে শেষ করার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।’