ভাইরাল খবর
করোনায় আক্রান্ত শহরের একের পর এক চিকিৎসক! এবার করোনা পজেটিভ চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : গত তিন-চার দিন ধরেই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হু-হু করে বাড়ছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রাজ্যের চিকিৎসকরাও আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। গত দু’দিনে শিয়ালদহর আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালের ২১ জন চিকিৎসক ও নার্সিং স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এবার চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অজয় রায়ের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে।
করোনার জোড়া টিকা নেওয়া সত্বেও তিনি করোনায় আক্রান্ত হলেন। এর আগেও তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। করোনা আক্রান্ত হয়েছেন নার্সেস ইউনিটির সম্পাদক ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়। শুক্রবারই অজয় রায়ের করোনা ধরা পড়ে। তাঁর সামান্য জ্বর ও সর্দির উপসর্গ আছে। আপাতত বাড়িতেই নিভৃতাবাসে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ফুলবাগানের বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক শ্যামাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার তাঁর রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তাঁরও সামান্য জ্বর, সর্দি, কাশির উপসর্গ রয়েছে। তিনিও বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে ১৯ জন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও একজন নার্সিং স্টাফ এবং লেডিস হোস্টেল সুপারের ১৪ বছরের মেয়েও পজেটিভ এসেছেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ডেন্টাল হসপিটালের ৬০ দন্ত চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্যে যেভাবে একের পর এক চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাতে চিকিৎসা ব্যবস্থায় তার প্রভাব পড়তে পারে বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহল। করোনা বিধি অনুযায়ী ১৪ দিন যদি চিকিৎসকদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে চিকিৎসকের অভাবে দেখা দিতে পারে। সেই কারণে আইসোলেশনের যে নিয়ম ছিল, অর্থাৎ সাতদিনের আইসোলেশন বা ১৪ দিন ঘরে থাকা তা কতটা মানা সম্ভব হবে তা নিয়েও সন্দিহান স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। আমেরিকার মতো রাজ্যেও পাঁচদিনের আইসোলেশন পর্ব কাটিয়ে চিকিৎসকদের কাজে ফেরানোর চিন্তাভাবনা শুরু করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।