বাংলার খবর
আবারও প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল, জেলা সভাপতির সামনেই মারধর পঞ্চায়েত সদস্যকে
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: আবারও প্রকাশ্যে চলে এল বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল। এনডিএ জোটপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় বিজয় মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। এই অপরাধে জেলা বিজেপি সভাপতির সামনেই বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠল দলেরই মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার অন্তর্গত চাঁদপাড়া বাজার এলাকায়। আহত ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই গাইঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ওই আহত পঞ্চায়েত সদস্যের স্ত্রী। গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির আহত সদস্যের নাম অর্ণব সুর। তাঁর স্ত্রী তথা কালুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির বিরোধী দলনেত্রী লতিকা সুর অভিযোগ করেছেন, চাঁদপাড়া পশ্চিম মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি বিশ্বজিৎ ঘোষ তাঁর স্বামীকে মারধর করেছেন। তার কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ।
লতিকা সুর অভিযোগ করেছেন, দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হতেই বিজয় মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন তাঁর স্বামী অর্ণব সুর। সেই কারণেই গত শুক্রবার রাতে চাঁদপাড়া বাজারে বিজেপি-র জেলা সভাপতি স্বপন মজুমদারের উপস্থিতিতে মণ্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ ঘোষ সহ দলীয় কর্মীরা অর্ণব সুরকে মারধর করে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অর্ণব সুর। শুক্রবার রাতেই লতিকা সুর থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ।
যদিও যাঁর বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে, সেই বিশ্বজিৎ ঘোষ গোটা ঘটনা অস্বীকার করেছেন। আর এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। তৃণমূলের পক্ষ থেকে কটাক্ষ করা হয়েছে। গোটা ঘটনার নিন্দা করে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি গোপাল শেঠ বলেছেন, ‘এটা সম্পূর্ণ বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল। তোদের জেলা সভাপতি স্বপন মজুমদারের সামনেই ওদের পঞ্চায়েত সমিতির একমাত্র সদস্যকে মারধর করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে। যা আমরা কোনও মতেই মেনে নেব না। পুলিশের কাছে সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।’