বাংলার খবর
আবার গেটম্যান তিলক দাসের তৎপরতায় অল্পের জন্য রক্ষা পদাতিক এক্সপ্রেসের
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ফের ১৭ এবং ১৬ নম্বর গেটের রেল কর্মী তিলক দাসের তৎপরতায় অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল শিয়ালদহ- নিউআলিপুরদুয়ারগামী পদাতিক এক্সপ্রেস। মঙ্গলবার সকাল ১০.১০ মিনিট নাগাদ জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন সংলগ্ন ১৬ ও ১৭ নং গেটের গেটম্যান তিলক দাস দেখতে পান আলিপুরদুয়ারগামী পদাতিক এক্সপ্রেসের S1 কোচের চাকা থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে তিলকবাবু রেড সিগন্যাল দেখান ট্রেনের গার্ডকে। পাশাপাশি তিনি তড়িঘড়ি বিষয়টি স্টেশন মাস্টারের নজরেও আনেন।
খবর পেয়ে স্টেশন মাস্টার সুব্রত মন্ডল সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা স্টেশনে ছুটে আসেন। ওই কামড়া থেকে সকল যাত্রীকে নামিয়ে আন হয়। খবর পেয়েই চলে আসেন রেলের ইঞ্জিনিয়াররা। তারপর প্রয়োজনীয় মেরামতি করে প্রায় ২৫ মিনিট পর ট্রেনটি গন্তব্যে রওনা হয়।
রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, S-1 কোচের চাকার ব্রেক জ্যাম হয়ে যাওয়ায় ধোঁয়া বের হচ্ছিল। সেটি মেরামত করে প্রায় ২৫ মিনিট পরে ট্রেনটিকে নিউ আলিপুরদুয়ারের উদ্যেশ্যে রওনা করানো হয়।
স্টেশন মাস্টার সুব্রত মন্ডল জানিয়েছেন, ‘পদাতিক এক্সপ্রেস রানী নগর স্টেশন ছাড়ার পর আমাদের গেট ম্যানেরা জানায় S1 কামড়ার চাকা থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। স্টেশনে আসার পর আমদের ইঞ্জিনিয়াররা দেখেন ব্রেক জ্যাম হয়েছে। এরপর মেরামতি করে ট্রেনটিকে ছাড়া হয়েছে।’
আলিপুর ডিভিশনের জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনের ১৭ ও ১৬ নম্বর গেটের গেটম্যান তিলক দাস ও তাঁর সহকর্মী কৌশিক রায়ের এহেন কাজে সাধুবাদ জানিয়েছেন ট্রেন যাত্রী থেকে শুরু করে রেল কতৃপক্ষ। কিছুদিন আগেই গেটম্যান এই তিলক দাসের তৎপরতায় জলপাইগুড়ি স্টেশন রোড সংলগ্ন ১৬ নম্বর গেট পার হওয়ার সময় রাজস্থানের বাঢ়মের থেকে অসমের গুয়াহাটি গামী বিকানের এক্সপ্রেস থেকে পড়ে গিয়েও প্রাণে বেঁচে যান এক যাত্রী। সেই সময় ১৭ নম্বর গেটে কর্তব্যরত ছিলেন তিলক দাস। এক আরপিএফ জওয়ানের ‘আদমি গির গ্যায়া’ চিৎকার শুনতে পান তিনি। তারপরই ১৬ নম্বর গেটের গেটম্যানকে খবরটা দেন তিনি।
সেই খবর পেয়ে ওই গেটম্যান দৌড়ে গিয়ে দেখেন চলন্ত ট্রেন থেকে এক যাত্রী নদীতে পড়ে গিয়েছেন। তারপর গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যাত্রীকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।