বাংলার খবর
সভা শেষে ফেরার পথে হঠাৎই হাসিমারার কোদাল বস্তিতে মুখ্যমন্ত্রী, শুনলেন সমস্যার কথা

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফরের প্রথম দিনে মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোড়া মানবিক মুখ দেখল উত্তরবঙ্গ-সহ রাজ্যবাসী। মঙ্গলবার দলীয় কর্মী সভায় মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখার সময় হঠাতই অসুস্থ হয়ে পড়ে মুসকান পারভিন নামে এক ছাত্রী। সঙ্গে সঙ্গেই বক্তব্য সেখানেই শেষ করে ওই পড়ুয়ার শুশ্রূষা শুরু করে দেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।
সভা শেষ করে মালঙ্গি গেস্ট হাউসে ফেরার পথে হাসিমারার কোদাল বস্তিতে হঠাৎই গাড়ি থেকে নেমে জনসংযোগ শুরু করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বস্তির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি, তাঁদের অভাব, অভিযোগও শুনলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানকার শিশুদের কাছে ডেকে নিয়ে আদর করার পাশাপাশি তাদের হাতে চকলেট তুলে দেন তিনি। খোঁজ নেন তাদের পড়াশোনার ব্যাপারেও। তারা ঠিকমতো স্কুলে যাচ্ছে কিনা, স্কুলের পোশাক ও খাবার-দাবার পাচ্ছে কিনা জিজ্ঞাসা করেন।
মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন শুনেই ভিড় জমে যায় বস্তিতে। সেখানে উপস্থিত মহিলাদের থেকে লক্ষীর ভান্ডার, বার্ধক্যভাতা সহ অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের পরিষেবা তাঁরা পাচ্ছেন কিনা, জেনে নেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই বস্তির বেশিরভাগ বাসিন্দা আদিবাসী ও উপজাতি সম্প্রদায়ের হওয়ায় তাঁরা লক্ষীর ভান্ডারে এক হাজার টাকা করে পাচ্ছেন কিনা সেই কথা জিজ্ঞাসা করেন। মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফরে আসছেন, সে কথা শুনে ছিলেন সকলেই। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যে তাঁদের বস্তিতে চলে আসবেন, সেটা কল্পনাও করতে পারেননি কোদাল বস্তির বাসিন্দারা। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে আপ্লুত বস্তির বাসিন্দারা।
যদিও জেলা সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আচমকা এই জনসংযোগ নতুন কোনও ব্যাপার নয়। এর আগেও বহুবার এইরকম জেলা সফরে গিয়ে আচমকাই গাড়ি থামিয়ে কখনও গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে রান্না করতে দেখা দিয়েছে, কখনও রাস্তার ধারে চায়ের দোকানে চা করতেও দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তার সঙ্গে সেই সমস্ত এলাকার মানুষরা সমস্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন কিনা সেই বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনেন মুখ্যমন্ত্রী। ঠিক একইভাবেই হাসিমারায় কোদাল বস্তিতে জনসংযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।