বাংলার খবর
এখনই জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা করে অনশনে বসলেন বিমল গুরুং
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: আগামী মাসেই পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন হওয়ার কথা। ২৬ জুন নির্বাচন হবে। কিন্তু সেই জিটিএ নির্বাচন নিয়েই এবার বেঁকে বসলেন বিমল গুরুং। জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা করে অনশনে বসলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি। তাঁর দাবি, এখনই পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন না চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সেই অনুরোধ রাখেননি। আর তার প্রতিবাদেই অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
গত পাঁচ বছর ধরে পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন হয়নি। গত মঙ্গলবারই পাহাড়ের সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক করে ২৬ জুন নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেছে দার্জিলিং প্রশাসন। ভোট গণনা ও ফল প্রকাশ হবে ২৯ জুন। আগামী ২৭ মে জিটিএ নির্বাচনের জন্য সরকারিভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। তারপরই মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর্ব শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্পেশাল অবজার্ভার এজি বর্ধন। মঙ্গলবার মিটিংয়ে প্রাথমিকভাবে সব দলই নির্বাচন করতে রাজি হলেও পরে বেঁকে বসেন বিমল গুরুং। তাঁর দাবি, আগে পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান হোক, তারপরে জিটিএ নির্বাচন হবে। আর সেই দাবি নিয়ে মঙ্গলবার অনশনে বসার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। আর কথামত বুধবার সকাল থেকেই অনশনে বসে পড়েন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি। গুরুং বলেছেন, ‘আমাদের দাবি হল পাহাড় সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করতে হবে। জিটিএ-র মধ্যে ৩৯৬টি মৌজা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তারপর নির্বাচন হোক। কিন্তু এখন নির্বাচন আমরা মেনে নেব না। তাই পূর্ব ঘোষণা মতোই আমি অনশনে বসলাম।’
বুধবার সকালে অনশন মঞ্চে গুরুংকে চুম্বন দিয়ে উত্তরীয় পরিয়ে দেন তাঁর স্ত্রী এবং রোশন গিরি। উপস্থিত ছিলেন মোর্চার সমর্থকরাও। গুরুঙের নামে জয়ধ্বনী দিতেও শোনা যায় তাদের। এই জিটিএ নির্বাচনকে ঘিরে পাহাড় যে আবার উত্তপ্ত হতে চলেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। যদিও পাহাড়ের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো গুরুঙের এই দাবিকে মেনে নিতে রাজি নয়। রাজ্য সরকার ব্যাপারটাকে কিভাবে মোকাবিলা করে এবং পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, সেটাই এখন দেখার।