শুধু ওষুধে নয়, হাঁটলেও কমবে ইউরিক অ্যাসিড!
Connect with us

লাইফ স্টাইল

শুধু ওষুধে নয়, হাঁটলেও কমবে ইউরিক অ্যাসিড!

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ :ইউরিক অ্যাসিড একটি জটিল রোগ। ইউরিক অ্যাসিড (Uric Acid) হল শরীরের ওয়েস্ট প্রোডাক্ট। প্রোটিন বিপাকের পর শরীরে তৈরি হয় ইউরিক অ্যাসিড। এবার শরীরের অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড দুটি কারণে বাড়তে পারে। প্রথমত, শরীরে বেশি পরিমাণে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হলে। দ্বিতীয়ত, শরীরে যেই পরিমাণে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হচ্ছে তা কিডনির মাধ্যমে বেরতে পারছে না। এই দ্বিতীয় শ্রেণির মানুষই বেশি।এই ইউরিক অ্যাসিড কিন্তু একটি জটিল রোগ। তাই প্রতিটি মানুষকে নিজের শরীরের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ে সচেতন হতে হবে।এক্ষেত্রে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার পর অনেকের তা জয়েন্ট জমে। তখন খুব ব্যথা হয়। এই সমস্যার নাম গাউট অর্থ্রাইটিস (Gout)। তবে অনেকের আবার কোনও লক্ষণই থাকে না। তবে লক্ষণ না থাকলেও এই রোগ থাকার অর্থ হল, অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। এক্ষেত্রে ডায়াবিটিস (Diabetes), প্রেশার (Blood Pressure) ইত্যাদির ঝুঁকি বাড়ে। কিন্তু এই রোগ বিনা ওষুধে শুধু হেঁটেই কমতে পারে। আসুন জেনে নি কিভাবে তা সম্ভব।

এক্ষেত্রে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড (Uric Acid Level) থাকার নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে। মহিলাদের ৬.৫ ও পুরুষের ৭ এর কম থাকা উচিত ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা। তাই প্রতিটি মানুষকে এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হতে হবে। বছরে একবার এই টেস্ট হল মাস্ট।
এক্ষেত্রে হাঁটা (Walking) অত্যন্ত জরুরি। কারণ হাঁটলে শরীর অনেকটাই ভালো থাকে। এমনকী ভালো হয় মেটাবলিজম। তাই প্রতিটি মানুষের হাঁটা উচিত ইউরিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। এবার মেটাবলিজম ভালো থাকলে ইউরিক অ্যাসিড কম থাকবে তাই ইউরিক অ্যাসিড থাকা রোগীরও হাঁটা উচিত। এভাবেই অনেকটা শরীরে কমে যেতে পারে এই সমস্যা।

দিনে অন্তত ৪৫ মিনিট হাঁটতে হবে। আর যেভাবে খুশি হাঁটলে চলবে না, বরং আপনাকে একটু জোরে হাঁটতে হবে। ঘাম ঝরবে, শ্বাস সামান্য ফুলবে। তবেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। এক্ষেত্রে এখন আর ৫ দিন হাঁটার কনসেপ্ট নেই। বরং রোজকার রোজ হাঁটতে হবে। কোনও দিনই বিশ্রাম নয়। তবেই ভালো থাকবেন। নইলে সমস্যা বাড়তে পারে।

Advertisement

এক্ষেত্রে খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর দিতে হবে। । যতটা সম্ভব রেডমিট, সামুদ্রিক মাছ, ঢ্যাঁড়শ ইত্যাদি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। অপরদিকে খেতে হবে ভিটামিন সি যুক্ত ফল। এক্ষেত্রে লেবু খেলে ইউরিক অ্যাসিড অনেকটাই কমে। এছাড়া দিনে অন্ততপক্ষে ৩ লিটার জলপান তো অবশ্যই জরুরি। তবেই বেরিয়ে যাবে এই পদার্থ।

এক্ষেত্রে ওষুধ দেওয়া হয় যখন শরীরে কোনো লক্ষণ থাকে তেমন কোনও লক্ষণ না থাকলে ওষুধ দেওয়া হয় না। সেক্ষেত্রে একটু লাইফস্টাইল (Lifestyle) ও ডায়েট (Diet) বদলেই সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া যায়।

Advertisement
Continue Reading
Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.