বাংলার খবর
গরমে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গ, সোয়েটার পরে স্কুলে যেতে হচ্ছে পড়ুয়াদের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: অস্বস্তিকর গরমে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গ। দারুণ দহনের হাত থেকে বাঁচতে চলতি বছরে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে গরমের ছুটি। টানা গরমে বাচ্চারা যাতে স্কুলে যেতে গিয়ে অসুস্থ না হয়ে পড়ে অথবা তাপপ্রবাহের জেরে যাতে কোনও প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে সেইজন্য একেবারে টানা ৪৫ দিনের গরমের ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)।
দীর্ঘসময়ের এই গরমের ছুটি নিয়ে যখন চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর ঠিক তখনই বেশকিছু জেলার পড়ুয়াদের গায়ে সোয়েটার চাপিয়ে যেতে হচ্ছে স্কুলে। দক্ষিণবঙ্গ সহ কলকাতার বাসিন্দাদের কাছে শুনতে গল্পের মতো লাগলেও আজ্ঞে এটা গল্প হলেও সত্যিই। কারণ, উত্তরবঙ্গজুড়ে চলছে বৃষ্টি। সেইসঙ্গে উপরি পাওনা হিসেবে বইছে হিমেল হাওয়া। যারফলে রীতিমতো গায়ে সোয়েটার পরে স্কুলে যেতে হচ্ছে এই জেলার বিভিন্ন এলাকার পড়ুয়াদের।
শুক্রবার রাত থেকেই জলপাইগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। শনিবার সকালেও যা অব্যাহত। দক্ষিণবঙ্গ যখন প্রচন্ড দাবদাহে পুড়ছে তখন উত্তরের এই মনোরম আবহাওয়া। জলপাইগুড়ি সহ উত্তরের বিভিন্ন প্রান্তে গরম একেবারে উধাও। যারফলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আগামী ২ মে থেকে স্কুলগুলিতে যে গরমের ছুটি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে তা না পসন্দ এই জেলার অধিকাংশ অভিভাবকদের।
আরও পড়ুন: বিচার ব্যবস্থায় স্থানীয় ভাষার ব্যবহারে জোর, সাধারণের জন্য বিশেষ বার্তা মোদির
এমনকি উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণের গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়ার বিস্তর ফারাক রয়েছে বলে সম্প্রতি ছুটির বিরোধিতা করে শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। আর এই রাজনৈতিক তরজার মধ্যেই যেন আগুনে ঘি ঢালল উত্তরের হিমেল হাওয়া। এখন দেখার বিষয় পরিস্থিতি কোন দিকে যায়।
এই বিষয়ে ছাতা মাথায় সন্তানকে স্কুলে পৌঁছতে আসা বর্ণালী বসুর মুখেও গরমের ছুটি নিয়ে একই জবাব। তিনি বলেন, ”এখন তো সেই অর্থে আমাদের এই অঞ্চলে গরম পড়েনি। সকালে সোয়েটার গায়ে চাপিয়েই বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে এসেছি। গরমের ছুটি আমাদের এদিকে পরে দিলেই ভালো হতো।”
আরও পড়ুন: আপাতত ED আধিকারিকদের কণ্ঠস্বরের নমুনা দিতে হবে না, জানাল হাইকোর্ট
শুধু যে শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ গরমের ছুটি পিছিয়ে দেবার পক্ষে সওয়াল করেছেন তা নয়। জলপাইগুড়ির পাহারপুর অঞ্চলের বাসিন্দা মহম্মদ আমিনুলের গলাতেও শোনা গেল একই সুর। তিনি বলেন, ”উত্তরবঙ্গের স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি আরও পরে দিলেই ভালো হতো। এখন তো আমাদের এখানকার পরিবেশ অনেকটা ঠান্ডা।”