আন্তর্জাতিক
অর্থনৈতিক সঙ্কটে জেরবার দেশ, কাগজের অভাবে পড়াশোনা বন্ধ হতে চলেছে

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: কাগজ সঙ্কট! বন্ধ হয়ে যেতে পারে বই ছাপানোর কাজ। যার ফলে আগামী শিক্ষাবর্ষে নতুন বই হাতে নাও পেতে পারেন শিক্ষার্থীরা। দেশজোড়া অর্থনৈতিক সঙ্কটের জেরে পড়াশোনায় এমনই বেহাল দশা প্রতিবেশী পাকিস্তানের।
জ্বালানি সহ ব্যাপক খাদ্য সঙ্কটে ভুগছে ভারতের প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। কিছু মাস আগেও সে দেশেও কাগজ সঙ্কটের জেরে স্কুল-কলেজে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল যাবতীয় পরীক্ষা। তারপর কেটে গিয়েছে অনেকগুলি দিন তবু এখনও কাটেনি সেই দেশের আর্থিক সঙ্কট। এই অবস্থায় এবার প্রকাশ্যে এল পাকিস্তানের অর্থনীতির বেহাল দশার ছবি। বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি, পাকিস্তান সরকারের ত্রুটিপূর্ণ নীতি এবং স্থানীয় কাগজ শিল্পের একচেটিয়া আধিপত্যের সমন্বয়ে এই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।
অল পাকিস্তান পেপার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, পাকিস্তান অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রিন্টিং গ্রাফিক আর্ট ইন্ডাস্ট্রি (পিএপিজিএআই), এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদ কায়সার কাগজ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য সংস্থাগুলি এই শঙ্কার আশঙ্কা আগে থেকেই করেছিল।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১০০০ পার, সাহায্যের আর্জি তালিবানের
পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কাগজের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রকাশকরা বইয়ের দাম নির্ধারণ করতে পারছেন না। এর কারণে, সিন্ধু, পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখওয়ার পাঠ্যপুস্তক প্রকাশনী বোর্ড বই ছাপাতে গিয়ে সমস্যায় পড়বেন বলে রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে।
বই ছাপানোর এই ঘটনা এবং কাগজ সঙ্কট নিয়ে পাকিস্তানের বিশিষ্ট লেখক আয়াজ আমির দেশের “অযোগ্য ও ব্যর্থ শাসকদের” নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ”পাকিস্তান আগের ঋণ পরিশোধের জন্য এবং ঋণ নেওয়ার বিষয়ে অসৎ চক্রে আটকা পড়েছে। তিনি লিখেছেন, “আমরা আইয়ুব খান (পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি), ইয়াহিয়া খান, জুলফিকার আলী ভুট্টো এবং মুহাম্মদ জিয়া-উল হকের নিয়ম দেখেছি। আমরা স্বৈরশাসকদের সরকার দেখেছি এবং তাদের সবার মধ্যে একটি জিনিস মিল ছিল। সমস্যা সমাধানের জন্য ঋণ নেওয়া এবং তারপর আগের ঋণ পরিশোধের জন্য আরও ঋণ গ্রহণ করা।”
আরও পড়ুন: বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে নদীর জল, বাংলাদেশে বন্যায় মৃত ৪০
জানা গিয়েছে, ইমরান খান গদিচ্যুত হওয়ার পর থেকে আরও প্রকট হয়েছে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সমস্যা। GDP-এর হার নিম্নমুখী। পাক ভাণ্ডারে ফুরিয়ে আসছে বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ। সেই সঙ্গে জ্বালানি সঙ্কট, ব্যাপক ঋণের বোঝায় ক্রমশ জর্জরিত হয়ে পড়ছে পাকিস্তান।