দেশের খবর
নেতাজির স্বপ্নপূরণ কেউ আটকাতে পারবে না, ইন্ডিয়া গেটে হলোগ্রাম মূর্তি উন্মোচনের পর বললেন প্রধানমন্ত্রী

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নেতাজির পূর্ণাবয়ব মূর্তির হলোগ্রাম উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার সন্ধ্যায় ইন্ডিয়া গেটের সামনে তিনি এই মূর্তি উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
পরবর্তীকালে ইন্ডিয়া গেটে গ্রানাইট দিয়ে তৈরি নেতাজির মূর্তি স্থাপিত হবে। সেই মূর্তি তৈরি হতে এখনও পাঁচ থেকে ছয় মাস সময় লাগবে। ততদিন এই হলোগ্রাম মূর্তি সেখানে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ভারত মাতার বীর সন্তান নেতাজিকে কোটি কোটি প্রণাম। এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আজ আমরা ইন্ডিয়া গেটে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়েছি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুও স্বতন্ত্র ভারতে বিশ্বাস জুগিয়েছিলেন। তিনি সাহসীকতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে ইংরেজদের বলেছিলেন ‘আমি স্বাধীনতার ভিক্ষা নেব না, আমি স্বাধীনতা আদায় করেই ছাড়ব।’ স্বাধীন, অসাম্প্রদায়িক ভারতের বিশ্বাস জুগিয়েছিলেন তিনি।যে ব্যক্তি ভারতের মাটিতে প্রথম স্বাধীন সরকার স্থাপন করেছিলেন, আজ ইন্ডিয়া গেটে তাঁর ডিজিটাল মূর্তি স্থাপিত হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই হলোগ্রাম মূর্তির জায়গায় গ্রানাইটের বিশাল মূর্তি বসানো হবে।
স্বাধীনতার মহান নায়ককে দেশের শ্রদ্ধাঞ্জলি। নেতাজি সুভাষের এই মূর্তি বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে দেশের প্রতি কর্তব্য স্মরণ করাবে। এবং তারা এখান থেকে অনুপ্রাণিত হবে। আমরা ২০৪৭ সালের আগে নতুন ভারত তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছি। নেতাজির দেশের প্রতি যে বিশ্বাস ছিল, তিনি যে কাজ করতে চাইতেন সেই কাজ আমরা সকলে মিলে করব। স্বাধীন ভারতের স্বপ্নপূরণ এখন সময়ের অপেক্ষা। পৃথিবীর কোনও শক্তি সেই স্বপ্নপূরণকে আটকাতে পারবে না। এই কাজ করতে আমাদের সময় লাগবে। এটা আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের সংকল্প। স্বাধীনতার পর অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। কিন্তু বর্তমানে দেশ সেই সব ভুল সংশোধন করে নিয়েছে। আন্দামানের একটি দ্বীপের নামও নেতাজির নামে করা হয়েছে।
এটা নেতাজির পাশাপাশি শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য।’ নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন বেশ কিছু পুরস্কারের কথাও ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের অনুষ্ঠানে দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও ঢেলে সাজানোর কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘২০১৪ সাল থেকে আমাদের সরকার দেশব্যাপি বিপর্যয় মোকাবিলা পদ্ধতিকে উন্নত করার কাজ করেছে। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনকে করোনা মহামারীর সঙ্গে উপযোগী করা হয়েছে। সারা দেশে এই বাহিনীকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করেন এই সদস্যরা। দেশের নানা বিপর্যয়ে নিজেদের জীবন বিপন্ন করে এরা উদ্ধার এবং বাঁচানোর কাজ করে।
বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী শক্তিশালী হওয়ার কারণে আজ করোনার সঙ্গে লড়াই করা সহজ হয়েছে। আধুনিকীকরণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বাংলা, ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ছে। কিন্তু বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দক্ষতার কারণেই বহু জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। এনডিআরএফ-এর সঙ্গে এসডিআরএফ’ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিপর্যয়ের সময় মানুষের প্রাণ বাঁচান। আজকের এই মঞ্চ থেকে আমি তাদের স্যালুট করছি। আগে সাইক্লোন এলেই অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হত, কিন্তু এখন তা হয় না। তাই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এর ভূয়সী প্রশংসা করেছে।’