বাংলার খবর
টাকা নয়ছয়, দূর্নীতির অভিযোগ! তদন্তের দাবি চেয়ারম্যানের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বাঁশবেড়িয়া পুরসভার পূর্বতন বোর্ডের চেয়ারপারসন ও এক ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ মগরা থানায়। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগীর অভিযোগ আমরুত প্রকল্পের প্রায় ১৭ কোটি টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত করা হয়। তাতেই ধরা পরে দূর্নীতি। চেয়ারম্যান জানান, আমরুত প্রকল্পের ৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল পুরসভার কাজের জন্য। সেই টাকা ইঞ্জিনিয়ার সম্রাট তালুকদারের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে খরচ করা হয়। তৎকালীন পুরো বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের অন্ধকারে রেখে সম্রাট তালুকদারের গাড়ির বিল দেখানো হয় ছয় লক্ষ টাকা। টেন্ডার দেওয়া থেকে বিভিন্ন কাজে দূর্নীতি হয়েছে তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেয়। এর পরেই এফ আই আর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত বাঁশবেড়িয়া পুরসভা তৃণমূলের পরিচালনাধীন। আগের বোর্ডও ছিল তৃণমূলের। তার চেয়ারপারসন ছিলেন অরিজিতা শীল। বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও তাকে প্রশাসক রাখা হয়। অরিজিতার স্বামী তৃণমূল কর্মী সত্যরঞ্জন শীলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগীকে প্রাণে মারার চেষ্টা। এরপরেই অরিজিতাকে সরিয়ে আদিত্যকে প্রশাসক করে দল। পুরো ভোটে জেতার পর আদিত্য নিয়োগীকেই চেয়ারম্যান করা হয়। ভাইস চেয়ারপারসন করা হয় শিল্পী চ্যাটার্জিকে। আগের বোর্ডেও শিল্পী কাউন্সিলর ছিলেন। আদিত্য ও শিল্পীর দাবী তারা বোর্ডে থাকলেও টাকা খরচের বিষয়ে তাদের কিছু জানানো হত না। নতুন বোর্ড গঠনের পর তারা কাজ করতে গিয়ে দেখেন প্রকল্পের টাকা আসছে না। আগের বোর্ডের দূর্নীতির কারনেই বর্তমান বোর্ড কাজ করতে সমস্যায় পড়ছে বলে দাবী তাদের। শিল্পী চ্যাটার্জি বলেন, এটা ঠিক আগের পুরবোর্ড তৃণমূলেরই ছিল। কিন্তু চেয়ারপারসন একাই সব করতেন তাই দূর্নীতি হলেও আমাদের কিছু করার ছিল না। এদিকে, আদিত্য নিয়োগী বলেন, আমরা চাই সঠিক তদন্ত। এর আগেও একবার অভিযোগ হয়েছিল। সেসময় মিথ্যা অডিট রিপোর্ট দিয়ে বিষয়টিকে চাপা দেওয়া হয়েছিল। এবার এই দূর্নীতির সঠিক তদন্ত চাই।
অন্যদিকে, অরিজিতা শীল বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগ হয়েছে ভালো কথা আগে প্রমাণ হোক তারপর যা শাস্তি হবে মাথা পেতে নেব। আজকে যারা অভিযোগ করছে আদিত্য নিয়োগী শিল্পী চ্যাটার্জী এরা তো তখন বলেছিল কোন বড় কাজ হলে মিটিং করে তবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তারা কি তখন ঘুমোচ্ছিলেন। আমি যদি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হই তাহলে তারাও তো সমান ভাগীদার হবে। সবাই সবকিছু জানে কেন আমার বিরুদ্ধে এখন এসব করা হচ্ছে।’