ভাইরাল
নম্বর নয়, মনোবল বড় – ব্যর্থ ছেলের জন্য কেক কেটে উদযাপন করল পরিবার

ডিজিটাল ডেস্ক : যেখানে পরীক্ষার ফলাফলে ব্যর্থতা মানেই বহু পরিবারে হতাশা, তিরস্কার আর অপমান— সেখানেই এক অভিভাবক জুটি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিকে পাল্টে দেওয়ার মতো উদাহরণ তৈরি করলেন। কর্ণাটকের বাগালকোট (Bagalkot) জেলার এক পরিবার দেখিয়ে দিল, নম্বরই সব নয়, গুরুত্বপূর্ণ হল চেষ্টা, সাহস আর আত্মবিশ্বাস।
এই বছর কর্ণাটক রাজ্য বোর্ডের (Karnataka SSLC) দশম শ্রেণির পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল অভিষেক নামে এক ছাত্র। ফলাফলে দেখা যায়, ৬২৫ নম্বরের মধ্যে সে পেয়েছে মাত্র ২০০। প্রতিটি বিষয়েই অনুত্তীর্ণ হয়েছে সে। তবে এ ব্যর্থতা তাকে বা তার পরিবারকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। বরং অভিষেকের বাবা-মা ছেলের এই ব্যর্থতাকে ‘সফলতা’র প্রথম ধাপ বলে মনে করে ঘরে কেক, মিষ্টি দিয়ে ছোট একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। কেবল তা-ই নয়, ছেলেকে জড়িয়ে ধরে উৎসাহ দিয়েছেন— যাতে সে নিজের আত্মবিশ্বাস হারিয়ে না ফেলে।
অভিষেকের (Abhishek) বাবা বলেন, “আমার ছেলে চেষ্টা করেছে, পরিশ্রম করেছে। আমরা নম্বরের চেয়ে সেই সততা আর অধ্যবসায়কে বেশি মূল্য দিই। সে এই মুহূর্তে ফেল করলেও, জীবনের বড় পরীক্ষায় যেন পাশ করে, সেটাই আমাদের কামনা।” অভিষেকের নিজের কথায়, ফলাফল জানার পর মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়েছিল সে। কিন্তু মা-বাবার ভালোবাসা ও প্রশ্রয় তাকে আবার উঠে দাঁড়াতে সাহস জুগিয়েছে। “ওঁরা বলেছিলেন, এটা শেষ নয়। আবার চেষ্টা করো। সেই কথাই আমাকে নতুন উদ্যমে পড়াশোনার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে,” জানায় সে।
এই ব্যতিক্রমী আচরণ এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। নেটিজেনরা এই পরিবারের মনোভাবকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। অনেকেই বলেছেন, “এই ধরনের অভিভাবকই বদলে দিতে পারেন সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি।” এই ঘটনা যেন সমাজের প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা— শুধু নম্বর নয়, মানুষ গড়াই হল আসল শিক্ষা। আর ব্যর্থতা মানেই জীবন শেষ নয়, বরং নতুন শুরুর ঠিকানা।