বাংলার খবর
নেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, ভর্তিও হননি কোনও হাসপাতালে, তবুও বেসরকারী নার্সিংহোমে ৩৭ হাজার ৮০০ টাকার চিকিৎসার বিল!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: নেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। ভর্তিও হননি কোনও হাসপাতালে।তবুও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা বাবদ ৩৭ হাজার ৮০০ টাকার বিল এল! পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড জালিয়াতির অভিযোগ উঠল। অভিযোগকারী পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের দ্বারিবেরিয়ার বাসিন্দা শঙ্কর মান্না।
তাঁর দাবি, তিনি এখনও পর্যন্ত স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য কোনও আবেদন করেননি এবং তাঁর কোনও স্বাস্থ্য সাথী কার্ডও নেই। তবুও গত ৩ জানুয়ারি তাঁর ফোনে একটা এসএমএস আসে। তাতে লেখা প্যারাডাইস ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে তিনি ভর্তি রয়েছেন। প্রথমে একটু অবাক হলেও সেই এসএমএস-কে তিনি খুব একটা গুরুত্ব দেননি। কিন্তু গত পাঁচ তারিখে তাঁর ফোনে একটি ডিসচার্জের এসএমএস আসে। এবং সেই এসএমএস দেখেই তাঁর চক্ষু চড়ক। কারণ, তাতে লেখা ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে তাঁর চিকিৎসা বাবদ বিল হয়েছে ৩৭ হাজার ৮০০ টাকা।
তারপরই তিনি মহিষাদল থানায় গোটা বিষয়টি জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে গেলে তাঁর অভিযোগ থানা নেয়নি বলে অভিযোগ শঙ্কর মান্নার। এর পরেই তিনি বিডিও অফিসে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগকারীর স্ত্রী রুমা মাইতি মান্না জানান, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য তাঁরা কোনও লাইন বা কোনও দরখাস্ত জমা দেননি। তবুও কী ভাবে কার্ড ইস্যু হল, এবং কীভাবে তাঁর স্বামীর কোনকিছু না হওয়া সত্বেও হাসপাতালে ভর্তি এবং পরে ডিসচার্জ হল, এবং এত টাকার বিল পাঠানো হল, তা নিয়ে তাঁরা ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছেন। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এ বিষয়ে বিজেপি তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এই সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার। এই সরকারের আমলে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থেকে শুরু করে যাই হয়েছে, সমস্ত কিছুই জালিয়াতি, ভুয়া। কাটমানি নেওয়া এই সরকারের বরাবরের অভ্যাস।’