নীল ষষ্ঠী ২০২২: সন্তানের মঙ্গল কামনায় শিবের মাথায় জল, জানুন এই পুজোর পৌরাণিক কাহিনী
Connect with us

বাংলার খবর

নীল ষষ্ঠী ২০২২: সন্তানের মঙ্গল কামনায় শিবের মাথায় জল, জানুন এই পুজোর পৌরাণিক কাহিনী

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন সন্তানের মঙ্গল কামনায় নীলপুজোয় মাতোয়ারা মায়েরা। সারাদিন উপবাস করে সন্ধ্যের পর বাবা ভোলানাথের মাথায় জল ঢেলে উপোস ভাঙ্গেন তাঁরা। সারাদিন উপোস থাকার পর রাতে সাবুমাখা বা ফল-মিষ্টি খেয়ে উপোস ভাঙা হয়।

চৈত্র পবনের দিনে নীলের পুজো ঘিরে নানা কথা প্রচলিত রয়েছে। মূলত সন্তানসন্ততির মঙ্গল কামনায় এদিন শিবের পুজো করেন মায়েরা। কথিত আছে, দেবাদিদেব শিবের অপর নাম নীলকণ্ঠ বা নীল। অনেকে মনে করেন,  শিবের সঙ্গে নীলচণ্ডিকা বা নীলাবতী পরমেশ্বরীর বিয়ে উপলক্ষ্যে লৌকিক আচার-অনুষ্ঠান সংঘটিত হয় এদিন। শোনা যায়, দক্ষযজ্ঞে দেহত্যাগের পর সতী পুনরায় নীলধ্বজ রাজার বিল্ববনে আবির্ভূত হন ৷ এরপর রাজা তাঁকে নিজের মেয়ের মতো করে বড় করে শিবের সঙ্গে ফের বিয়ে দেন।

নীলষষ্ঠীর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আরও একটি লোক কথা। পুরাকালে এক বামুন আর বামুনী ছিলেন। যারা অতি ভক্তি ভরে নানা ব্রত পালন করলেও তাঁদের সন্তান বেশিদিন বাঁচত না। এরকম ভাবে দিন কাটানোর সময়ে একদিন কাশীর গঙ্গা ঘাটের ওপর বসে দুঃখে দুজনে কাঁদছিলেন তারা। এই দেখে মা ষষ্ঠী, বুড়ি বামনীর বেশ ধরে এসে তাদের জিজ্ঞাসা করেন,তোরা কাঁদছিস কেন?”

Advertisement

আরও পড়ুন: মাওবাদী পোস্টার ঘিরে TMC-BJP তরজা বাঁকুড়ায়

বামুনী তার দুঃখের কথা জানালে, মা ষষ্ঠী প্রশ্ন করেন, ”তোরা কি নীল ষষ্ঠী করেছিস?” বামনী উত্তর দেয়, ”সে কী মা? কই ও ব্রত তো আমরা জানি না।” তখন মা তাদের বলেন, ”সমস্ত চৈত্র মাস সন্ন্যাস করে শিব পুজো করবে, তারপর সংক্রান্তির আগের দিন, সমস্ত দিন উপোষ করে সন্ধে নাগাদ নীলাবতীর পুজো করে নীলকণ্ঠ শিবের ঘরে বাতি জ্বালিয়ে মা ষষ্ঠীকে প্রণাম করে তারপর জল খাবে। ওইদিনকে বলা হয় নীলষষ্ঠী।” কথিত আছে, যারা নীলষষ্ঠী করেন তাদের সন্তানরা কখনও অল্প বয়সে মারা যায় না। আর সেই থেকেই প্রচলিত হয়ে আসছে এই নীল পুজোর।

আরও পড়ুন: গরম পড়তেই হাহাকার পানীয় জলের, প্রতিবাদে পথঅবরোধ গ্রামবাসীদের

Advertisement

এই পুজো ঘিরে আগের দিন থেকে শুরু হয় উৎসবের আমেজ। যারা এই পুজোর উপোস রাখেন, তাঁরা আগের দিন নিরামিষ খাবার গ্রহণ করেন। অনেকে আবার আতপ চালের ভাত সন্দক লবন সহযোগে খান। পরের দিন অর্থাৎ নীলষষ্ঠীর দিন ভাতের দানা বা কোনও চালের জিনিস খাওয়া যায় না। এদিন উপোস ভাঙার পর সাবু মাখা, ফল ,সরবত,মিষ্টি অথবা ময়দার তৈরি কোনও খাবার গ্রহণ করা হয়।