দেশের খবর
সহবাসে না, স্ত্রীর ইচ্ছাকেই সম্মতি জানান অধিকাংশ পুরুষ দাবি সমীক্ষায়
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ভারতীয় পুরুষ এবং মহিলাদের বিয়ের পরে যৌন জীবন কেমন? তা জানতে সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে। সমীক্ষার রিপোর্টে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এনএফএইচএস-এর সাম্প্রতিক গবেষণার রিপোর্ট বলছে বিয়ের পরে শারীরিক মিলনে স্ত্রী অনীহা প্রকাশ করলে তাঁকে জোর করে সেক্স করার জন্য বাধ্য করেন না ৬৬ শতাংশ ভারতীয় পুরুষ। শুধু তাই নয়, বিয়ের পর শারীরিক সম্পর্ক তৈরিতে যদি স্ত্রীর অনীহা থাকে তাহলে তা নায্য বলেই মেনে নেন বা সন্তুষ্ট থাকেন এই ৬৬ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ। যারা স্ত্রীকে কোনও ভাবেই বাধ্য করেন না শারীরিক মিলনের জন্য।
সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, ৮ শতাংশ মহিলা এবং ১০ শতাংশ পুরুষ এই বিষয়ে আবার একমত নন। তাঁরা মনে করেন, একজন স্ত্রী তাঁর স্বামীর কাছে যে কোনও কারণে যৌনতা প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। আর এই বিষয়টি এমন একটি সময়ে সামনে এসেছে যখন বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধীকরণ করা নিয়ে বিতর্ক চলছে।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর সম্মতি ছাড়া সহবাস কি অপরাধ, মামলা গড়াল সুপ্রিম কোর্টে
ওই সমীক্ষায় ‘নারীর ক্ষমতায়ন’ স্বামীর সঙ্গে নিরাপদ যৌন সম্পর্কের আলোচনার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বিষয়ে লিঙ্গ সমতার একটি সক্রিয় ফ্যাক্টর হিসাবে “সম্মতি” ইস্যুতে দৃষ্টিপাত করা হয়েছে।
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের বয়স পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ১৫-৪৯ বছর ছিল। এই সমীক্ষায় প্রাপ্তবয়স্কদের একটা বড় অংশই ছিল যারা সম্মতি প্রকাশ করেছেন যে মহিলাদের তিনটি নির্দিষ্ট কারণে তাঁদের স্বামীর কাছে যৌনতা প্রত্যাখ্যান করার অধিকার রয়েছে।
শুধু তাই নয়, বর্তমান সময়ে অন্তত ৪৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৫ শতাংশ নারী এখনও মনে করেন স্ত্রীকে মারধর করা স্বামীর অধিকারের মধ্যে পড়ে। এতে তাঁরা কিছু মনে করেন না।
এদিকে এমন সময়ে এই সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে যখন স্ত্রীর সম্মতি ছাড়া সহবাস কি অপরাধ তা নিয়ে দিল্লি আদালত থেকে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। স্ত্রীর সম্মতি ছাড়া সহবাস কী অপরাধ? দিল্লি হাইকোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে দায়ের হওয়া এই মামলায় দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়লেন আদালতের দুই বিচারপতি রাজীব শাখধের এবং সি.হরিশঙ্কর।
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে পথদুর্ঘটনা, শিশু সহ মৃত ৩
জানা গিয়েছে, আদালতে দায়ের হওয়া ওই মামলায় দুই বিচারপতিই নির্দিষ্ট কোনও মীমাংসায় আসতে পারেননি। যারফলে মামলা এবার গড়াল সুপ্রিম কোর্টে। এবার শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চ ঠিক করবে বৈবাহিক সম্পর্কে স্ত্রীর সম্মতি ছাড়া সহবাস অপরাধ কি অপরাধ নয়।
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়, রাস্তায় নেমে আন্দোলনের বার্তা অভিষেকের
বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধমূলক কিনা সেই প্রশ্ন নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি রাজীব শাকধের (Justice Shakdher) এবং বিচারপতি হরিশঙ্করের (Justice Shankar)বেঞ্চে দায়ের হয়েছিল মামলা। জমা পড়েছিল একাধিক পিটিশন। সেই পিটিশনগুলির শুনানি শেষে একই সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি দুই বিচারপতি।