ক্ষুধার্তের মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দিতে পথে করিমরা
Connect with us

বাংলার খবর

ক্ষুধার্তের মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দিতে পথে করিমরা

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: অমিতাভ বচ্চনের শাহেনশা ছবির মতন রাত নামলেই একদল ছেলে বেরিয়ে পড়ে রাস্তায়। তবে এদের হাতে বন্দুক দড়ির বদলে থাকে খাবার টিফিন কৌটো। হুগলীর আরামবাগের বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে অন্ধকার গলির মোড় যেখানেই অসহায় ক্ষুধার্ত মানুষ দেখতে পায় তাদের কাছে পৌঁছে যায় খাবারের কৌটো হতে।

প্রয়োজন নেই কবিতার স্নিগ্ধতা, কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি। ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ছাড়পত্র কবিতার এই লাইনটি যে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ তা আমরা সকলেই জানি। আর আমরা এও বিশ্বাস করি ইহোজগতে ক্ষুধার থেকে বড় ধর্ম ও অন্নর থেকে বড় ঈশ্বর বোধহয় কিছু নেই। একজন ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে যদি কেউ অন্ন তুলে দেয় তাহলে সেই অন্নদাতা মানুষটি একজন ক্ষুধার্তের কাছে ভগবানের সমান। মাস সাতেক আগে শেখ করিম আলী নামে আরামবাগের এক যুবক নিজের উপার্জনের কিছু টাকা বাঁচিয়ে শুরু করে সর্বহারা মানুষদের মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দেবার। তার সেই কাজকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে একে একে তার বন্ধুরাও যোগ দেয় তার সঙ্গে। করিম আলী জানান, তিনি একজন পেশাদার ফুটবলার বিভিন্ন ক্লাবের টুর্নামেন্টে খেলতে গিয়ে যা আয় হত তার একটা অংশ তিনি ব্যয় করতেন এই সর্বহারা মানুষগুলির জন্য। পরবর্তীতে তার বাকি বন্ধুরাও তার সঙ্গে সাহায্যের হাত বাড়ায়। তারা সবাই মিলে স্থির করে নিজেদের উপার্জনের থেকে তারা একটা অংশ এক জায়গায় একত্রিত করে সেই টাকা থেকে সর্বহারা মানুষদের জন্য অন্নের ব্যবস্থা করবে।

সেই মতেই রোজ রাতের বেলা নিজেদের কাজ শেষ করে তারা বেরিয়ে পড়েন অসহায় মানুষগুলির খোঁজে। ঘন্টাখানেক ধরে গোটা আরামবাগে খোঁজাখুঁচি করে যাদেরকে তারা দেখতে পায় তাদের কাছে পৌঁছে যায় খাবার থলি হাতে। এই মানুষগুলোর জন্যই আরামবাগে প্রতিদিন রাতে দু’মুঠো অন্ন মুখে তুলতে পারে পথের ধারে সেই মানুষগুলি। এক কথায় বলা যেতে পারে সর্বহারা মানুষদের মাসিহা হলেন করিম আলী, শেখ সুরোজ ও তাদের বন্ধুরা।

Advertisement
Continue Reading
Advertisement